কী সেই বিজ্ঞাপন? কী বা লেখা আছে সেই বিজ্ঞাপনে যা নিয়ে এত শোরগোল? সোমবার দৈনিক এক সংবাদপত্রের প্রথম পাতার বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, অগ্রিম টাকা ছাড়াই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ভর্তির গ্যারান্টি। ভর্তির পর ৬ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন চার্জ বাবদ প্রার্থীকে দিতে হবে এককালীন ১০ হাজার টাকা, আর নিট পরীক্ষায় ৩৬৬ নম্বর থাকলেই চলবে! কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এই ভাবে কী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়া সম্ভব? কীসের নিশ্চয়তা? এই প্রশ্নই সরব হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
advertisement
আরও পড়ুন: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরল ‘শিক্ষা’ মামলা! দায়িত্বে এবার কে?
বিজ্ঞাপনের বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। পুলিশকে তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে।” বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের রাজ্য সম্পাদক সজল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘এর আগেও এম বি বি এস ভর্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এটা নজির বিহীন। যারা এটা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ চিকিৎসক মানস গুমটা জানান, ‘এটা হিম শৈলীর চূড়া মাত্র, এর পিছনে কারা রয়েছেন খুঁজে বার করতে হবে।’
এই বিষয়ে খোঁজ নিতে বিজ্ঞাপন দাতার অফিসে এদিন পৌঁছয় নিউজ ১৮ বাংলা। বিজ্ঞাপনে দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে নিউজ ১৮ বাংলার মুখোমুখি হন এই বেসরকারি সংস্থার কর্নধার সৌরিশ ঘোষ। তিনি জানান, “আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছি ঠিকই। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞাপনে চমক রয়েছে। আমরা বিজ্ঞাপনে পরিষ্কার লিখেছি যারা নিট পরীক্ষায় নূন্যতম ৩৬৬ মার্কস পাবেন তারাই শুধু এই সুযোগ পাবেন। কারণ নিটের নম্বরের পাশাপশি আমরা আলাদা করে একটি পরীক্ষা নেবো। সেই পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা আশানুরূপ নম্বর পেলে দশ মাসের একটি আবাসিক ট্রেনিং আমাদের সংস্থা পরীক্ষার্থীদের দেবে। সেই ট্রেনিংয়ের পর সরকারি নিয়ম মেনে ছাত্রছাত্রীরা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি সুযোগ পেলেই তখন ছয় লাখ টাকা এই দশ মাসের কোর্স ফি বাবদ হিসেবে আমরা নেব। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।”
এই বিষয়ে পুলিশি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন৷ সেই প্রসঙ্গে এই সংস্থার কর্নধার সৌরিশ ঘোষ আরও জানান, “শেক্সপিয়ার সরণী থানা সামনেই আছে। আমরা কোনও অন্যায় করিনি, পুলিশ মনে করলে তদন্ত করে দেখতে পারেন।”