এই অবস্থায় আশার কথা শোনাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এ দিন বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়েছে, তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা শিশুদের সংখ্যা ক্রমাগত কমছে৷ স্বাস্থ্য দফতরের বিবৃতিতে আরও আশা প্রকাশ করা হয়েছে, দোলের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তের আগমনে শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের এই সমস্যাও অনেকটাই নির্মূল হয়ে যাবে৷ ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আশা করা যায় দোলের সঙ্গে সঙ্গেই বসন্তের স্নিগ্ধ বাতাসের আগমন ঘটবে৷ যা আমাদের দুঃখ থেকে জীবনের উজ্জ্বল দিকে নিয়ে যাবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ৯০ বছরে বৃদ্ধের বুকে পেসমেকার! অসাধ্য সাধন কলকাতার বিআরসিং হাসপাতালের
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, দোল এবং হোলিতেও সমস্ত সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এবং ইনডোর চিকিৎসা পরিষেবা অন্যান্য দিনের মতোই চালু থাকবে৷ যাতে হাসপাতালে গিয়েও বিনা চিকিৎসায় না ফিরতে হয় রোগীদের৷
আরও পড়ুন: ভর্তি আইসিইউ, প্রয়োজন আরও ভেন্টিলেটর! বি সি রায় শিশু হাসপাতালে অ্যাডিনো আতঙ্ক
সোমবারও সারাদিনে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে একাধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথ-এও৷
সোমবার বিধানসভাতেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের সংখ্যা কমছে৷ শিশুদের নিয়ে সতর্ক থাকার জন্যও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ছিল, এখনও পর্যন্ত এই ধরনের উপসর্গ নিয়ে চলতি মরশুমে ১৯টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে৷ যাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশুর কোমর্বিডিটি ছিল৷ ৬টি শিশুর শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের অস্তিত্বও মিলেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী৷