পুজোয় প্রতি মাসে খরচ হয় দেড় হাজার টাকা মতো, বৃদ্ধা সেই টাকা রোজগার করেন হরি ঘোষ স্ট্রিটের ফুটপাথে বসে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে পাঁচটার সময় দুধের গাড়ি থেকে দুধের প্যাকেট নিয়ে ফিটপাথে বসে বিক্রি করেন, বাড়ি বাড়িও পৌঁছে দেন দুধ। তাঁর বক্তব্য, পুজোর জন্য প্রতি মাসে ব্রাহ্মণ ঠাকুর নেন ৬০০ টাকা ,ফুলের খরচ ৫০০ টাকা, বাকি টাকা লাগে ধূপ, ধুনো, ফল,মিষ্টি কিনতে ।
advertisement
ঠাকুর পুজোর টাকা কারও থেকেই নেন নে ৭৫ বছরের অনিমাদেবী, নিজেই রোজগার করেন! বৃদ্ধার বড় ছেলে শ্রীমান চট্টোপাধ্যায়ের কথায় ' মা ঠাকুর নিয়েই থাকেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তা আরও বেড়েছে। আমরা নিষেধ করি, উনি শোনেন না। বলেন ঘরে বসে থাকলে আয়ু কমে যাবে।তাই সকালে উঠেই বেরিয়ে যান। ঠাকুরের সমস্ত খরচা নিজেই জোগাড় করেন।'
রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিটে মেহেতাব আলমের দোকানের সামনে বসেন বৃদ্ধা। মেহতাবের বয়স তা প্রায় ৬৫, ছোট থেকেই দেখছেন অনিমাদেবীকে। তাঁর ভাষায়, '' লকডাউনেও প্রতিটি বাড়িতে সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দুধ পৌঁছে দিয়েছেন।'' তবে হ্যাঁ, ফুটপাথে দোকান হলে কি হবে ? মাস্ক না পরে এলে দুধ বিক্রি করেন না অনিমাদেবী।
Sanku Santra