তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন বাপ্পা ভট্টাচাৰ্যের সঙ্গে মদ খেয়েছিল কুন্দন কুমার । সেই নিয়ে অশান্তি? নাকি টাকা পয়সা নিয়ে কোনও গন্ডগোলের জেরেই খুন ধৃতকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
advertisement
তবে কুন্দন একা নয়, আরও কেউ খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। তাদেরও খোঁজ চলছে৷ বিহারের ঔরঙ্গবাদ কোর্ট থেকে ট্রানসিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল দশটায় আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে কুন্দন কুমারকে।
গত মঙ্গলবার হরিদেবপুর জিয়াদারগোট এলাকায় দোতলা বাড়ির শৌচালয় থেকে বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে ৪৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহউদ্ধার করে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। মৃতের মাথায় আঘাত ছিল৷ দেহতেও পচন ধরেছিল। ঘর থেকে মেলে মদের বোতল।
মৃতের মেয়ে মহামায়া দাস ও জামাই অরূপ দাসের প্রথম থেকে দাবি ছিল, গত রবিবার বাপ্পার সঙ্গে তাঁর দুই বন্ধুর বাড়িতে আসার কথা ছিল৷ প্রসঙ্গত, হরিদেবপুরের বাড়িতে একাই থাকতেন বাপ্পা৷ সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দারা পৌছন লালবাজারে চায়ের দোকানে যেখানে কুন্দন ও বাপ্পা কাজ করতেন। খোঁজ নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার পর কুন্দন কাজে আসছে না। তার খোঁজ শুরু হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহারে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের একটি দল৷ বিহার পুলিশের সহযোগিতায় কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার টিম অভিযান চালায়। এর পর গ্রেপ্তার করা হয় কুন্দনকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বাপ্পার বাড়িতে যে দু' জনের আসার কথা ছিল তাদের মধ্যে একজন হলো কুন্দন। কিন্তু মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি হয়! নাকি টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা চলছিল সেগুলো ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নিহতের পরিবারের দাবি,গত এক বছর ধরে হরিদেবপুরের বাড়িতে একা থাকছিলেন বাপ্পা৷একা থাকার সুযোগে মদ খাওয়া অছিলায় তাঁকে হত্যা করার ছক কষে কুন্দন? পূর্ব পরিকল্পনা করেই কি খুন? উত্তর খুঁজছে পুলিশ৷
মৃতের স্ত্রী খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে আসেন কলকাতায়। তিনি একটি পার্লারে কাজ করেন। স্ত্রী পিঙ্কি ভট্টাচাৰ্য ও পরিবারের মেয়ে জামাই সকলেই ঘটনায় হতবাক।
