কলকাতা : হরিদেবপুর রহস্যমৃত্যুকাণ্ডে এখনও কাটল না ধোঁয়াশা৷ তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লুঠপাটের জন্যই খুন করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার রাতে হরিদেবপুর থানার পুলিশ স্থানীয় একটি বাড়ির শৌচালয় থেকে উদ্ধার করে বাপ্পা ভট্টাচার্য নামে ৪৩ বছর বয়সি এক ব্যক্তির দেহ৷
বুধবার ঘটনাস্থলে থ্রি ডায়মেনশনাল লেজার ইমাজিইং পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধ দৃশ্যের পুনর্নিমাণের চেষ্টা করে লালবাজারে সায়েন্টিফিক উইংসের আধিকারিকরা। ডিসি ডিডি স্পেশাল দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে হোমিসাইড শাখা ও লালবাজারের বিশাল টিম ঘটনাস্থলে আসে বুধবার। তাঁরা পরিবারের বয়ান রেকর্ড করেন ও নমুনা সংগ্রহ করে। আসেন ফরেন্সিক উইংসের আধিকারিকরা। ফরেন্সিক আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় জানান, "ঘটনাস্থল থেকে রক্ত নমুনা ও বিভিন্ন জিনিস লন্ডভন্ড, সেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। "
আরও পড়ুন : আবার চালু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা, দেশের উড়ানবাণিজ্যে এর গুরুত্ব কোথায়?
নিহতের মেয়ে মহামায়া দাস ও জামাই অরূপ দাস বুধবার জানান, "রবিবার শেষ কথা হয় বাবা ও মায়ের। তারপর থেকে ফোনের সুইচড অফ।কেউ যোগাযোগ করতে পারছিল না।’’ নিহতের স্ত্রী পিঙ্কি ভট্টাচাৰ্য বেঙ্গালুরুতে এক বিউটি পার্লারে কাজ করেন।
মেয়ের দাবি, রবিবার দুজনের আসার কথা ছিল যাঁরা বাপ্পার কাজের জগতের বন্ধু। লালবাজারে উল্টোদিকে চা এর দোকানে কাজ করতেন বাপ্পা। জানা গিয়েছে, বাপ্পা মদ্যপান করতেন। কেউ কি তাহলে বাড়িতে এসেছিলেন? কী কারণে হত্যা? আর্থিক কারণ, নাকি পারিবারিক সমস্যা নাকি সম্পত্তি গত সমস্যা? কী রয়েছে নেপথ্যে?
পরিবারের দাবি,গত এক বছর ধরে হরিদেবপুরে থাকছিলেন বাপ্পা৷ আগে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে সোদপুরে পানিহাটিতে থাকতেন। গত শনিবার চায়ের দোকানে কাজ করতে যাননি বাপ্পা। কেন যাননি? কারওর আসার কথা ছিল? উঠছে প্রশ্ন। মৃতের স্ত্রী পিঙ্কি খবর পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে আসেন কলকাতায়। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে রবিবার দুপুরে কথা হয়। তারপর আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক প্ল্যান্টে আক্রমণ বিশ্বের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক ছিল?
এর আগেও মদ্যপান করে অনেক বার ফোন বন্ধ রেখেছেন বাপ্পা ৷ তাই তাঁকে ফোনে না পেয়ে কারও কিছু মনে হয়নি। পিঙ্কি মঙ্গলবার ফোন করে প্রতিবেশী মুন্না বর্মনকে বলেন খোঁজ নিতে। মুন্না বাড়ির একতলার ঘর বন্ধ দেখে ফিরে যান। মুন্নার বাবা এর পর বাড়ির বাইরের সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠে যান৷ দোতলায় গিয়ে তিনি দেখেন গেট খোলা৷ তার পর তিনিই শৌচালয়ের জানালা দিয়ে দেখেন বাপ্পা নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন৷ ওই প্রতিবেশীর কাছ থেকে খবর পেয়ে নিহতের পরিজনরা এর পর হরিদেবপুর থানায় খবর দেন।
আরও পড়ুন : চুরি গেল রুপোর বাঁশি ও বহুমূল্য অলঙ্কার, মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি ঘিরে চাঞ্চল্য নবদ্বীপে
ময়না তদন্তে প্রাথমিক অনুমান, ভোঁতা ও ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বাপ্পা ভট্টাচার্যকে। লুঠের উদ্দেশে খুন বলে প্রাথমিক অনুমান। একাধিক দুষ্কৃতী এর সঙ্গে জড়িত বলেই ধারণা পুলিশের৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crime, Haridevpur, Murder