সূত্রের দাবি, ওই মোবাইলে ছিল অয়নের বান্ধবী ও তার মায়ের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ মূহুর্তের ভিডিও। যা নিয়েই গত কয়েক মাস ধরেই ঝামেলার সূত্রপাত বলে জানা গিয়েছে। তাহলে কি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিতেই পরিকল্পনা করে মারধর ও খুন? ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এমনকি অয়নের বান্ধবীর বাড়ির দোতলায় যেখানে অয়নকে মারধর করা হয় এবং মৃত্যু হয়, সেখানে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনওরকম রক্তের দাগ বা ছাপ পাননি ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা, দাবি সূত্রের। কারণ ঘটনার পর জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়েছিল ঘটনাস্থল বলে দাবি পুলিশের। তাহলে কি মারার উদ্দেশ্য নিয়েই ডাকা হয়েছিল অয়নকে?
advertisement
আরও পড়ুন- মাল নদীতে বারবার হড়পা বান কেন? চিন্তায় প্রশাসন
নেপথ্যে পৌঁছতে অভিযুক্তদের দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে পুলিশের তরফে বলে সূত্রের খবর। এমনকি আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে পুলিশকে। সূত্রের খবর, তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে ব্ল্যাকমেইল তথ্য। অয়নের মোবাইলে থাকা ভিডিও দেখিয়ে একাধিক বার ব্ল্যাকমেইল করেছিল অয়ন, এমন তথ্য প্রাথমিক ভাবে জেরাতেও উঠে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। যা অন্যতম কারণ হতে পারে এই খুনের ঘটনার বলেও মনে করছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত উঠে আসা তথ্য প্রমানে জোর দিতে চাইছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য ! ১১৫৮ কেজি ওজনের বিশাল কুমড়ো, না দেখলে বিশ্বাসই হবে না!
উল্লেখ্য, দশমীর রাতে অয়নকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওর বান্ধবীর বাড়িতে। সেখানে বচসা, হাতাহাতির পর মারধরও হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সূত্রের খবর, সেখানেই ইটের আঘাতে মৃত্যু হয় অয়নের।অয়নের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর বাড়ির পাশে একটি নির্মীয়মান ফ্ল্যাট থেকে প্লাস্টিকের ত্রিপল এনে পরিবারের সকল সদস্য মিলে দেহ প্যাক করা হয়। এরপর সকলে মিলে দেহ গাড়িতে তোলে। এই কাজে সাহায্য করে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের দুই বন্ধু। যারা অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের সঙ্গে দেহ ফেলতে গিয়েছিল ৷ দেহ ফেলে আসার পথে অয়নের মোবাইল নেপালগঞ্জের কাছে জলাশয়ে ফেলে দেয় বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।