ভিড়ের উপর নজর রাখতে মেলার বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এক হাজারেরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে মেলা চত্বরজুড়ে। সঙ্গে রাখা হয়েছে ড্রোন। আর তার ছবি যেমন ম্যানার কন্ট্রোল রুমে দেখতে পাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকেরা, ঠিক তার একটা ফিডও পাঠানো হচ্ছে নবান্নে। নবান্ন থেকেও চলবে এক দফা নজরদারি। ইতিমধ্যেই নবান্নে ফিড পাঠানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- গঙ্গাসাগর মেলায় অসুস্থদের সাহায্য করতে প্রস্তুত হেলিকপ্টার
আগামী ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তি। ওইদিন সব থেকে বেশি জনসমাগম হবে গঙ্গাসাগরে মেলায়। সেই কথা মাথায় রেখে যাত্রী নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। কপিল মুনির আশ্রমের সামনেও রাখা থাকছে একাধিক সিসিটিভি। ২০ টিরও বেশি ড্রোন ক্যামেরা থাকছে নজরদারিতে।
শুধু তাই নয় বিভিন্ন যে ট্রানজিট পয়েন্টগুলি রয়েছে সেই ট্রানজিট পয়েন্টগুলি থেকেও সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি চলবে। সেখান থেকেও সরাসরি ছবি চলে আসবে নবান্নে। জেলা প্রশাসনের দাবি, যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই গঙ্গাসাগর মেলায় সন্ধ্যা আরতি হয়েছে। এই প্রথম গঙ্গাসাগর মেলায় সন্ধ্যা আরতি ব্যবস্থা হল। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি পরিবহণ মাধ্যমেও জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হয়েছে। সব মিলিয়ে গঙ্গাসাগর মেলা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি এবার নবান্ন থেকেও চলবে নজরদারি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলায় পরিদর্শন করে এসেছেন। কপিল মুনির আশ্রমে ও পুজো দিয়েছেন। গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন বৈঠক করে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়