শহর কলকাতায় মোট ৫৮৫ টি বাজার রয়েছে। তার মধ্যে ৪০-৫০ টি বাজারে সরেস সবজি বিক্রি হয়। যার ফলে, সেই বাছাই করা সবজির দাম ওই বাজারগুলোতে অন্যান্য বাজারে তুলনায় কিছুটা বেশি হয়।
একটু ভাল খাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষ ওই বাজারগুলোতে যান। বাকি অন্যান্য বাজারগুলোতে বেশিরভাগটাই দ্বিতীয় শ্রেণীর সবজি বিক্রি হয়।
যেমন পাইকারি বাজারে শনিবার বাছাই করা বেগুনের দাম ২৫০-২৭০ টাকা পাল্লা বিক্রি হয়েছে। যা ৫০- ৫৪ টাকা কেজি দরে।
advertisement
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনের লেডিস কামরায় নতুন নিয়ম চালু, রাত ৯টা বাজলেই চোখে পড়বে বদল
উচ্ছে ২০০-২২০ টাকা দরে পাল্লা বিক্রি হয়েছে। কিন্তু খুচরো বাজারগুলোতে যে বেগুন, উচ্ছে, পটল বিক্রি হচ্ছে তা প্রত্যেকটাই বি গ্রেডের। কিন্তু সাধারণ ক্রেতারা সেগুলিকে ফ্রেশ সবজি হিসাবে দাম দিয়ে কিনছেন।
সবাই বলছেন, চাষিরা সবজি চাষ করে কাঁদছেন। যারা খুচরো বাজারে খুচরো ক্রেতা, তাঁরাও সব্জি কিনতে গিয়ে কাঁদছেন। তা হলে মাঝের টাকাটা যাচ্ছে কোথায়? পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, খুচরো বিক্রেতারা কম দামে সবজি কিনে ৮০-১০০% লাভে বিক্রি করছে।
যদিও খুচরো বিক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে, সবজি শুকিয়ে যায়। নষ্ট হয়। যার কারণে তারা একটু বেশি লাভ রেখেই বিক্রি করেন। বাজার নিয়ে যারা চর্চা করছেন যাঁরা, তাঁদের বক্তব্য- চাষি এবং খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে একটা বড় অংকের টাকা নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। সেটার ভাগ মূলত ভোগ করে বাজারে খুচরো বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন- বাংলার এই ছেলের নাম এখন মঙ্গলেও, চন্দ্রযানেও নাম-ঠিকানা পাঠাতে চান শৌনক
খুচরো বিক্রেতাদের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যার ফলে সবজি কত দামে বিক্রি করবে, তারাই ঠিক করে। যার ফলে যখন সবজির দাম বাড়ে, তখন পাইকারি বাজারের তুলনায় দ্বিগুণ কিংবা কাছাকাছি দরে খুচরো ক্রেতাদের খুচরো বাজার থেকে সবজি কিনতে হয়। কারণ এই ব্যবসায় নির্দিষ্ট কোন বিলিং প্রথা নেই।