এ দিন বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন সায়ন্তিকা এবং রেয়াত৷ সেই বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ৷
আরও পড়ুন: সাদা টি শার্ট, হাতে সংবিধান! শপথ নিয়ে রাহুল বললেন…
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর জন্য ফের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দেবেন বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়ক৷ রাজ্যপালের জন্য আগামিকাল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বিধানসভায় অপেক্ষাও করবেন তাঁরা৷ অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের পর শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ ভবনের সঙ্গে বিধানসভার সংঘাত আরও তীব্র হল৷
advertisement
এ দিন রাজ ভবন থেকে দুই বিধায়ককে যে চিঠি দেওয়া হয়, তাতে শপথ না নিলে বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল৷ পাল্টা এ দিন অধ্যক্ষ বলেন, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে ১৯৭২ সালে বাম বিধায়করা তিন বছর শপথ নেননি। তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ হয়নি।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, বি আর আম্বেদকর তার বক্তব্যে বলে গেছেন, কোনও উপনির্বাচনে জিতে আসলে তাকে অধ্যক্ষ শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। প্রয়োজনে সেই কপি রাজভবনে পাঠানো হবে। যা হচ্ছে তা অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক। সূত্রের খবর, দুই বিধায়ককে অপেক্ষা করে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যক্ষ৷
প্রসঙ্গত, দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে৷ রাজ্যপাল চাইছেন, দুই বিধায়ক রাজ ভবনে এসে শপথ নিন৷ যদিও সেই প্রস্তাবে রাজি নন বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং রাজ্যের শাসক দল৷ আগামিকাল শেষ পর্যন্ত সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকার শপথ নিতে পারেন কি না, সেটাই দেখার৷