ডিভিসি সূত্রে খবর, শুধুমাত্র মাইথন ও পাঞ্চেতের পলি সংস্কার করতেই খরচ পড়বে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। আর নতুন ড্যাম নির্মাণে খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা।ডিভিসি'র এক্সকিউটিভ ডাইরেক্টর সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাইথন ড্যামের আয়ু ৭৫ বছর। ইতিমধ্যেই ৬০ বছর পেরিয়ে গেছে মাইথন ড্যাম। অভিযোগ উঠছে ড্রেজিং না করার জন্যই নাব্যতা কমে গেছে। জল ধরে রাখতে না পারায় বেশি জল ছেড়ে দিচ্ছে ডিভিসি। ফলে বানভাসি হচ্ছেন দামোদরের নিম্ন উপত্যকার বাসিন্দারা। ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ ড্যাম। সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এই ড্যামে সংস্কার বা পলি তোলা সম্ভব নয়। এই পরিকল্পনায় অর্থনৈতিক চাপ বাড়বে ব্যর্থ হবে প্রশাসন। দুটি ড্যাম সংস্কার করতে খরচ পড়বে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। সেখানে একটি নতুন ড্যাম তৈরি করতে খরচ পড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি পলি সংস্কার করলে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ওই একই খরচেই সংস্কার চালিয়ে যেতে হবে। তাই যারা ড্রেজিং বা পলি সংস্কারের কথা বলছেন তারা না জেনেই বলছেন বলে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের দাবি। রাজ্যের তরফে অবশ্য এই যুক্তি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "দীর্ঘদিন ধরেই কখনও চিঠি লিখে, কখনও বৈঠকে ড্রেজিংয়ের কথা বলেছে রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্র নিশ্চুপ হয়ে থাকে।" অন্যদিকে মাইথন ও পাঞ্চেত ড্যাম যখন তৈরি হয় তখন দুই থেকে আড়াই লক্ষ কিউসেক পর্যন্ত জল ছাড়া হলেও বন্যা পরিস্থিতি হতো না। কিন্তু এখন এক লাখ কিউসেক জল ছাড়া হলেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার একমাত্র কারণ হল দামোদর উপত্যকা নিম্ন এলাকা বা অববাহিকা দখল হয়ে যাওয়া। সেই দখল জমি যদি দামোদর প্রবাহের জন্য ফেরত পায় তাহলে বন্যার সম্ভাবনা কমবে। পাশাপাশি মাইথন ড্যাম জলাধার হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে। নতুন করে যদি আরও জমি অধিগ্রহণ হয় তাহলে মাইথনের ড্যামের জল ধরার ক্ষমতা আরও বাড়বে।সত্যব্রত বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ডিভিসি কর্তৃপক্ষ যে পদ্ধতিতে জল ছাড়ছে তা একেবারেই নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে ।
advertisement
মাইথন পাঞ্চেত ড্যাম পলি সংস্কার কোন মতেই সম্ভব নয়। কিন্তু জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশনের গঠন করে দেওয়া একটা কমিটি। সেই কমিটিতে রাজ্যের প্রতিনিধিও আছেন। তাই রাজ্য জানে না এই যুক্তি মানতে নারাজ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ।
ABIR GHOSHAL
