পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘মার্ডার উইপন’ অর্থাৎ যা দিয়ে দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়েছে সেটা সঠিক কিনা তা জানতে আরও জেরা করার প্রয়োজন আছে। এর সঙ্গে আরও অন্য কেউ আছে কিনা সেটাও তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা দরকার বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: টাকা, সাফল্য হাতের মুঠোয়! এই তারিখগুলিতে জন্ম নিলেই কোটিপতি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না
advertisement
প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় শ্যালিকাকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ। সূত্রের খবর, শ্যালিকাকে ভালবাসতেন অভিযুক্ত। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পরেও রাজি হননি ওই মহিলা। অভিযোগ সেই রাগেই শ্যালিকাকে খুন করে তিন টুকরো করেন অভিযুক্ত।
শুক্রবার সকালে টালিগঞ্জ গ্রাহামস রোডের আবর্জনার ভ্যাটে পড়ে থাকা কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই তোলপাড় রাজ্যজুড়ে। সকাল ৯:৩০ নাগাদ মানুষের মুণ্ডুর তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ৷ এলাকা ঘেরাও করে এবং মাথাটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মুণ্ডুটি কার তার শনাক্ত করতে ১২টা নাগাদ ডগ স্কোয়াড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে তদন্তের জন্য এসআইটি গঠন করা হয়। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়, স্থানীয় দের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। পরবর্তীতে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ খাতেজা বিবির বাড়ি পৈলান পাড়া, ডায়মন্ড হারবার। তিনি রিজেন্ট কলোনির বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশ আতিউর লস্করকে ১৩ তারিখ রাতেই আটক করে। পুলিশি জেরায় আতিউর খুনের কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার হয় রিজেন্ট কলোনির একটি বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে যেখানে দুটি বস্তায় ভোরে আতিউর দিয়ে অংশগুলি ফেলে দিয়েছিল। কোথায় সেই নির্মম হত্যা ঘটেছিল সেই জায়গা পুলিশকে দেখায় আতিউর। সেখান থেকে যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল, সেই অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ইতিমধ্যে আতিউর লস্করের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।