গত বুধবার মধ্যরাতে ধৃত কৃষ ও করণকে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তদন্তকারীরা। ঘরের মধ্যে পুনর্নির্মাণ করানো হয় অভিযুক্তদের দিয়ে।
জেরায় তদন্তকারীদের অভিযুক্তেরা জানিয়েছে, গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা ভাগারাম সিংয়ের কাছে। কিন্তু ভাগারাম সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না৷ আর বার বার বলা সত্ত্বেও সেই টাকা না দেওয়ার কারণেই খুন। সম্প্রতি টাকা ফেরত না দেওয়া নিয়ে সপ্তাহ খানেক ধরেই ঝামেলা চলছিল৷
advertisement
জানা গিয়েছে, খুনের সময় কৃষ ও করণ দুজনই ছিলেন। কৃষ গলার নলি কাটার কথা পুলিশকে জানালেও করণও সন্দেহের বাইরে নেই। তারও খুনে ভূমিকা আছে বলেই মনে করছে পুলিশ৷
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। অভিযুক্তদের দিয়ে ঘটনার ফের পুনর্নির্মাণ করা হবে। মুক্তারাম বাবু স্ট্রিট থেকে দেহ নিয়ে বেরিয়ে কোন পথে ঘোলা এলাকায় পৌঁছেছিলেন দুজন, পুরোটাই পুনর্নির্মাণ করতে চাইছে পুলিশ৷
নাগেরবাজার থেকে ক্যাব ভাড়া করেছিলেন দু’জন৷ কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপরে অন্ধকার জায়গায় গাড়ি দাঁড় করাতে বলায় সন্দেহ হয় গাড়ি চালকের৷ কেন গাড়ি দাঁড় করাতে হবে, এ নিয়ে চালকের সঙ্গে দুই যাত্রীর তর্কাতর্কির মধ্যে চলে আসে পুলিশের টহলদারি ভ্যান৷ এর পরই গাড়ির ভিতরে রাখা ট্রলি ব্যাগ খুলতে ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে এক ব্যক্তির মুখবন্ধ দেহ!
আরও পড়ুন: তপ্ত অধিবেশন! ছেঁড়া হল কাগজ, উড়ল বিধানসভায়, চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়লেন ক্ষুব্ধ স্পিকার
কয়েকদিন আগে কুমোরটুলি ঘাটের গাছে বস্তায় ভরে এক মহিলার দেহ ফেলে আসতে গিয়ে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন বারাসতের বাসিন্দা মা এবং মেয়ে৷ এবার সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটল কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের উপরে উত্তর চব্বিশ পরগণার ঘোলা থানার অন্তর্গত বিলকান্দা এলাকায়৷ দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় গাড়িতে থাকা দুই ব্যক্তির একজন৷ গাড়িতে থাকা দ্বিতীয় যাত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ পরে তাকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে আর এক অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করে পুলিশ৷
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় ধৃত দুই অভিযুক্তই রাজস্থানের বাসিন্দা৷ জেরায় ধৃতরা জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম ভাগারাম দেবাসী৷ ধৃত দু জনের নাম করণ সিং এবং কৃষ্ণপাল সিং৷ পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী ভাগারাম কৃষ্ণপাল এবং করণ সিংয়ের থেকে চুড়িদারের পিস কিনত৷ কিন্তু দীর্ঘদিন টাকা শোধ না করায় ভাগারামের কাছে ৮ লক্ষ টাকা পেত করণ এবং কৃষ্ণপাল৷ বার বার চাইলেও সেই টাকা দিচ্ছিল না ভাগারাম৷