অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করতে হবে জেনেও সেই চ্যালেঞ্জটা হাসিমুখেই গ্রহণ করেছিলেন নিরঞ্জন প্রধান ৷ রাষ্ট্রপতির মূর্তি বানানোর সুযোগ আর ক’জনই বা পান ৷ মূর্তি সাধারণত মহান ব্যক্তিরা মারা যাওয়ার পরেই বানানো হয় ৷ সেখানে জীবিত রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করার সুযোগ পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত ছিলেন কলকাতার শিল্পী ৷ নিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘রাষ্ট্রপতির মূর্তি তৈরি করাটাই আমার কাছে আসল ৷ টাকাটা সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷ এই প্রাপ্তি আর ক’জনের ভাগ্যে হয় ? তখন রাষ্ট্রপতির কিছু ছবি পাঠাতে বলি ৷ সেগুলি দেখে কলকাতা থেকেই মাটির মূর্তিটা প্রাথমিকভাবে তৈরি করে নিয়ে গিয়েছিলাম ৷ বাকি ফিনিশিং টাচটা দিই রাষ্ট্রপতি ভবনে বসেই ৷ রাষ্ট্রপতিকে সামনে পেয়ে তাঁর লাইভ মূর্তি তৈরি করার সুযোগ পাওয়াটা সত্যি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট ৷ ’’
advertisement
কিন্তু রাষ্ট্রপতির মতো দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যস্ত মানুষের পক্ষে মূর্তির জন্য বেশি সময় দেওয়াটা যে অত্যন্ত কঠিন ৷ সেটা বিলক্ষণ জানতেন নিরঞ্জনবাবু ৷ সেই মতো প্রস্তুতিও নিয়ে গিয়েছিলেন কলকাতা থেকে ৷ রাষ্ট্রপতি শেষপর্যন্ত আধ ঘণ্টা করে পাঁচ দিন সময় দেন শিল্পীকে ৷ ওইটুকু সময়েই যথেষ্ট ছিল অভিজ্ঞ ভাস্করের জন্য ৷ নিরঞ্জনবাবুর কথায়, ‘‘ রাষ্ট্রপতি আমাকে বলেন পাঁচ দিন আধ ঘণ্টা করে সময় দিতে পারব, তাতে হবে তো ? এছাড়া তিনি প্রত্যেক সময়েই যথেষ্ট সহযোগীতা করেছেন ৷ আমাকে জিজ্ঞেস করছিলেন আমার কাজে কোনও অসুবিধা হচ্ছে কী না ৷ কাজটা কী করে ভাল হয়, তার জন্য প্রণববাবু নিজেই অনেক বেশি উদ্যোগী ছিলেন ৷ এদিকে সময় খুব তাড়াতাড়ি কাটছিল, তাই শেষের দিনগুলিতে রাষ্ট্রপতি নিজেই বললেন, দেখুন এতে হবে তো ? আমি বললাম হ্যাঁ সময় তো হয়ে গিয়েছে ৷ ফেরার টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছে ৷ আমার ছাঁচ তৈরির কাজ ওই সময়ের মধ্যেই হয়ে গিয়েছিল ৷ রাষ্ট্রপতি ভবনেও আমি সবার কাছে অত্যন্ত সহযোগীতা পেয়েছি ৷’’
আরও পড়ুন--->