গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আগে গাড়িচালক রবীন মণ্ডলকে খুন করে, পরে সুবীর চাকিকে খুন করা হয়। বাড়িতে ঢোকার পর উপরের ঘরে চলে যায় ভিকি। চালককে আগে খুন করে পরে সুবীরকে। গোয়েন্দাদের অনুমান, আগে খুন করে পরে লুঠ চালানো হয়েছে। উপর থেকে রবীনকে খুন করে এসে তার পর সুবীরকে খুন করা হয়। একজন মুখ চেপে ধরে। বাকি দু'জন হাত ও পা চেপে ধরে। গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, তাহলে কি পূর্ব পরিকল্পনা ছিল এই খুনের? বক্তব্যে কিছু জায়গাতে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে নিশ্চিত হতে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কথাও ভাবা হয়েছে। খুনের পর ট্রেন ধরে ৩ জন একসঙ্গে পালায়। বাড়িতে না ফিরে বিভিন্ন জায়গাতে আত্মগোপন করেছিল অভিযুক্তরা।
advertisement
শনিবার শেষ দুই ধৃত জাহির গাজি ও বাপি মণ্ডলকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। দুই অভিযুক্তকেই আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারী আইনজীবী আবেদন করেন, এই ঘটনায় আরও অনেকের জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত মৃতদের থেকে লুঠ করা আংটি, মানিব্যাগ, মোবাইল উদ্ধার হয়নি। ঘটনার পুনর্নিমাণ ছাড়া রহস্য সমাধানে বেগ পেতে হচ্ছে। খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়। এই ধৃতদের পুলিশের হেফাজতে রেখে আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাট জোড়া খুনে ৩ জন গ্রেফতার হলেও এখনও রয়েছে ধোঁয়াসা! উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন
পুলিশ সূত্রে খবর, ভিকি ৯-১০ মাস আগে বাড়ি কেনার জন্য বাবাকে নিয়ে এসেছিল গড়িয়াহাটে। সেই সময় বাড়ির নীচের অংশ ২৫ লক্ষতে কিনতে চেয়েছিল। কিন্তু সুবীর চাকি বলেন, গোটা বাড়ি দেড় কোটিতে বিক্রি করবেন। ফলে তিনি বাড়ি বিক্রি করেননি। পুলিশের অনুমান, সেই থেকেই কি রাগ হয়েছিল ভিকির? পরে প্রতিহিংসা আক্রোশের জন্ম? সেই সময় তার বাবা থেকে ১৫ লক্ষ ও বাকি ১০ লক্ষ ভিকি দেবে বলেছিল। কিন্তু পরে তার বাবা টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভিকি নিজের বাবাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের মোটিভ এখনও স্পষ্ট নয়, পুলিশের অনুমান আরও অনেকে জড়িত!