এই অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম উদ্যোক্তা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তাঁর কথায়, ‘‘ ১৫ মার্চ, ২০২৩ সালে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, পশ্চিমবঙ্গে সিভিল সার্ভিস (এক্সিকিউটিভ) পদে নিয়োগের জন্য লিখিত যে পরীক্ষা হয়, সেটা শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় দেওয়া যাবে। অতীতে বাংলা ভাষার বিকল্পে হিন্দি, উর্দু এবং সাঁওতালি ভাষাতেও ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারত। সরকারের হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে অন্ধকার নেমে এসেছে রাজ্য সরকার পরিচালিত হিন্দি, উর্দু, সাঁওতাল মাধ্যম স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে। আমরা চাই রাজ্য সরকার অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করুক।’’
advertisement
আরও পড়ুন– OMG ! কী কাণ্ড ! ৮৮ লক্ষ টাকা খরচ করে নিজের উচ্চতা ৭ ইঞ্চি বাড়ালেন এই ব্যক্তি
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ‘‘রাজ্য সরকার পরিচালিত সমস্ত স্কুলে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসাবে পড়ানো হোক। ছাত্র-ছাত্রীদের বাংলা ভাষায় শিক্ষিত করার পর, এই বিজ্ঞপ্তি কার্যকর করা হোক। রাজ্য সরকার পরিচালিত সমস্ত স্কুলে বাংলা পড়ানোর জন্য কমপক্ষে দুজন স্থায়ী শিক্ষক বাধ্যতামূলক নেওয়া হোক।’’
সম্প্রতি কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণীর ভাষা পরিষদ প্রেক্ষাগৃহে এক আলোচনা সভায় এই দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘সরকারের উচিত বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থে অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা।’’ আগামী দিনে বিধানসভাতেও বিষয়টি নিয়ে তিনি এবং তাঁর দলের বিধায়করাও সরব হবে বলে জানান। পাশাপাশি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুধুমাত্র চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে আলোচনা সভা করে নয়, কলকাতার রাজপথে নেমে আন্দোলনের ঝাঁঝ তীব্র করার পাশাপাশি লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের আইনি লড়াই করারও পরামর্শ দেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভাষাগত সংখ্যালঘু মানুষদের সঙ্ঘবদ্ধ করে শুধু কলকাতা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনা সভার আয়োজন করা হচ্ছে বলেও জানান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আজ, শনিবার বেলা ৩টেয় হাওড়ার শরৎ সদনে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও সেই আলোচনা সভায় অংশ নেবেন।