এম আর বাঙুর হাসপাতালের অভিনব এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন অফ মিনিমাল এক্সেস সার্জনস অফ ইন্ডিয়া (ইস্ট জোন চ্যাপ্টার) এবং ওয়েস্টবেঙ্গল চ্যাপ্টার অফ অ্যাসোসিয়েশন অফ সার্জনস অফ ইন্ডিয়া। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকরা মিলিত হয়ে এই অস্ত্রোপচার কর্মসূচি নেওয়ার হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা ময়দানে রাশি রাশি আখরোট! যেন মেলা, কোথা থেকে এল এত আখরোট? জানলে অবাক হবেন
advertisement
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার জানান,” বর্তমানে গলব্লাডারের পাথরের সমস্যা সবথেকে বেশি আমারা দেখি। বর্তমানে জেলায় মাইক্রো সার্জারি করা হলেও এম আর বাঙুর হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারের জন্য উন্নত মানের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই চাপ এত বেশি হয় যে বহু মানুষ অস্ত্রোপচার দিন না পেয়ে অপেক্ষায় থাকেন। তাই এই সমস্যা দূর করতে আমরা এধরণের একটি পরিকল্পনা নিয়েছি।”
আরও পড়ুন: ১০ বছরে সর্বাধিক নতুন প্রজাতির প্রাণীর খোঁজ দিল জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া! ৫০ প্রজাতিই এই বাংলার
বর্তমানে গলব্লাডারে পাথরের অস্ত্রোপচার করতে ব্যবহার হয় ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি। অতএব, নাভির পাশে ফুটো করে ছোটো একটি ক্যামেরাকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করানো হয়। এরপর তিনটে ছোট ফুটো করে পেটের মধ্যে প্রবেশ করানো হয় সার্জিক্যাল সরঞ্জাম। কিছুক্ষণের মধ্যে গলব্লাডারকে লিভার থেকে ছিন্ন করে, পিত্তনালী ও রক্তনালীর সংযোগ কেটে দেওয়ার পর নাভির ফুটো দিয়ে এটাকে বের করে আনেন দক্ষ চিকিৎসক।
এই পদ্ধতিতেই অপারেশন করবেন চিকিৎসকরা। যাঁরা অস্ত্রোপচার করাতে ইচ্ছুক তাঁদের অবশ্যই এম আর বাঙুর হাসপাতালে ওপিডিতে এসে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। জুলাই মাসেই আজ অতএব ৪ থেকে ৮ তারিখ এই নথিভুক্ত নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
ওঙ্কার সরকার