জানা গিয়েছে, বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে অ্যাকসেপ্ট করার পর মেসেঞ্জারে কখনও ১৫০০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে, কখনও পাস বইয়ের ছবি চাওয়া হচ্ছে, পেটিএম ব্যবহার করেন কিনা-সহ নানান বার্তা পাঠানো হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর পরিচিত কয়েকজনের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারার পরই কার্যত হতবাগ হয়ে যান তিনি। যদিও বিধায়কের অভিযোগ পত্রে কাউকে তিনি এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করছেন কিনা, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চক্রান্ত করা হচ্ছে কিনা এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ না থাকলেও অশোক লাহিড়ী চান ঘটনার আসল রহস্যের উদঘাটন হোক। সেই কারণেই তিনি সাইবার ক্রাইম থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
advertisement
সাম্প্রতিক সময়ে এই ধরনের ঘটনা আরও বেশ কয়েকজনের সঙ্গেও ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এর নেপথ্যে যে বড়সড় আন্তরাজ্য প্রতারণা চক্র জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম থানায় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ছবি সহ অবিকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভুয়ো করে প্রতারণার ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তদন্ত প্রক্রিয়াও জোর কদমে চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য সাফল্য মেলেনি তদন্তকারীদের বলে খবর। পরিচিতদের তালিকা বানিয়ে বন্ধু পাতিয়ে রাজ্যের অনেক পুলিশ অফিসার থেকে সরকারি আমলাদেরও টার্গেট করছে প্রতারকরা।
এ ব্যাপারে অনবরত নানাভাবে সচেতনতামূলক প্রচারও শুরু হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। তবে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ বাগে আনা যায়নি প্রতারকদের। এই চক্রের নেপথ্যে কি জামতাড়া গ্যাং? নাকি অন্য কোনও চক্র? খতিয়ে দেখছে সাইবার ক্রাইম বিভাগ। প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী নিজের ফেসবুক পোস্টে তাঁর আসল এবং নকল অ্যাকাউন্ট, দুটিরই স্ক্রিনশট দিয়ে ফেসবুক বন্ধুদের সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন।