আরও পড়ুন: 'বিল বকেয়া, কাটা হবে বাড়ির ইলেক্ট্রিক', নয়া প্রতারণার ফাঁদে হলদিয়ার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক
কিন্তু বামফ্রন্টের দীর্ঘদিনের শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক কোথায়? না কোনও ঝান্ডা না দলের কোনও নেতা। তাহলে কি ফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে গেল ফরওয়ার্ড ব্লক? মিছিলে থাকা শরিক দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সেই গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চায়নি কেউই। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দলের নেতা জীবন সাহা জানিয়েছেন, "একটা ভুল বোঝাবুঝির ফলে এমনটা ঘটেছে। আসলে যারা দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতেন তাদের কাছেই এই কমসূচির বার্তা গিয়েছে। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের কনভেনার কে বিষয়টা জানানো হয়েছে।" যদিও ফরওয়ার্ড ব্লকের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে না রাজ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।
advertisement
আরও পড়ুন: দিন দিন বাড়ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম, কারণ জানালেন পরিবহণ মন্ত্রী...
আজাদ হিন্দ মঞ্চের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। আসলে মিছিলে আসার মতো লোক নেই ফরওয়ার্ড ব্লকের কাছে। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন তাঁরা। এটা ঠিক দলের সব কর্মসূচিতে আমরা অংশগ্রহণ করতাম। এখন তাঁদের সবাই দল ছেড়েছেন। নেতৃত্ব যতই বলুক আসলে এখন তাঁরা কাগুজে বাঘ হয়ে গিয়েছেন। ফ্রন্টের দাবি সমর্থন করে আমরা কর্মসূচিতে এসেছি। আমরা দলীয় নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করছি পরবর্তী কর্মসূচিতেও আমরা আসবো। ফরওয়ার্ড ব্লকও লোক আনুক দেখা যাক কাদের সাথে মানুষ আছে। আমি লিখে দিচ্ছি মিছিলে লোক আনতে গেলে এই জেলা ওই জেলা থেকে ডেকে আনতে হবে। আর বিক্ষুব্ধরা যদি জেলা থেকে আসতে শুরু করে কথা দিচ্ছি ওদের থেকে অন্তত দশগুন বেশি লোক হবে।"
তবে ফরওয়ার্ড ব্লক ও বিক্ষুব্ধদের দড়ি টানাটানিতে বামফ্রন্টের মধ্যে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, ফরওয়ার্ড ব্লক বামফ্রন্টের শরিক দল। বামফ্রন্টের যে কোনও কর্মসূচিতে তারা আসতেই পারে। কিন্তু কর্মসূচি কে সমর্থন করে পতাকা ছাড়া যদি কেউ মিছিলে পা মেলায়? তবে সংখ্যার বিচারে ফরওয়ার্ড ব্লককে টেক্কা দিতে চাইবে বিরোধীরা। এই নিয়ে অদৃশ্য রেসারেসি শুরু হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিপিএমের রাজ্য কমিটির এক নেতা বলেন, "কেউ যদি ইস্যু সমর্থন করে মিছিলে আসেন তাঁকে তো আর বেরিয়ে যেতে বলা যায় না। ইস্যুকে সমর্থন করে যে কেউই মিছিলে আসতে পারেন।"
UJJAL ROY