এ বিষয়ে আজাদ হিন্দ মঞ্চের পক্ষে সুদীপ বন্দোপাধ্যায় বলেন, "আজাদ হিন্দ মঞ্চের পক্ষ থেকে ২২ জুলাই ভারত সভা হলে ডঃ বরুন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণ সভা করা হয়। আমরা মনে করি যে উদ্দেশ্য নিয়ে আজাদ হিন্দ মঞ্চ গঠন তার মূলত দুটি কারণ আছে। প্রথমত, নেতৃত্বের সততা এবং দ্বিতীয়ত, আদর্শ। এই দুটো বিষয়েই ডঃ বরুন মুখোপাধ্যায় আমাদের নেতা। তাঁর সততা প্রশ্নাতীত। যা আজকের নেতৃত্বের ছিঁটেফোঁটাও নেই। পতাকা পরিবর্তনে বরুন দা সুভাষবাদী ভাবনায় কোনও কালেই বিশ্বাস রাখতেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: শ্রাবণ সোমবারে জল ঢালতে বেরিয়েছিল ৯ জনের দল, পথে মর্মান্তিক মৃত্যু ২ ভক্তের
১৯৪৮ সালের ২৬ থেকে ২৯ জানুয়ারি চন্দননগরে অশোক ঘোষ, চিত্ত বোস যে সম্মেলনে পতাকা ঠিক করে ছিলেন তার সহযাত্রী ছিলেন কমঃ বরুন মুখোপাধ্যায়। আজকে বরুনদার মতাদর্শ যারা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে তাঁদের কোনও অধিকার নেই তাঁর স্বরণ সভা করার। বাম রাজনীতি পরিচালিত হয় মতাদর্শের ভিত্তিতে। সেই মতাদর্শই যাদের নেই সেই নেতৃত্বকে একদিন আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলবে দলের কর্মীরা।"
আরও পড়ুন: পেরিয়ে গেছে ৩ ঘণ্টা, ঢুকতে দেওয়া হয়নি আইনজীবীদের, পার্থর হল একাধিক টেস্ট
দলের পতাকা পরিবর্তন নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্ব কার্যত আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে যায়। দলের প্রাক্তন বিধায়ক ইমরান আলি রামজ, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের মতো দলের হেভিওয়েট নেতারা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। পরে দলের বাইরে আজাদ হিন্দ মঞ্চ তৈরি করেন। সেই মঞ্চ থেকেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিতে থাকেন তাঁরা। কখনও দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কর্মসূচি, কখনও বা দলের নেতা অশোক ঘোষের জন্মশতবর্ষ পালন। কখনও আবার বামফ্রন্টের কর্মসূচিতে যোগদান করা। এ বার দলের প্রয়াত নেতার স্মরণ সভা আগে করে দলকে বার্তা দিতে চাইছেন বিক্ষুব্ধরা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
UJJAL ROY