বর্তমানে ভারতীয় সেনার ইস্টার্ন কম্যান্ডের সদর দফতর হল ফোর্ট উইলিয়াম । মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কম্যান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘গত ২ ডিসেম্বর নাম বদলের নির্দেশ আসে। সরকারি ভাবে এখনও ঘোষণা না হলেও প্রশাসনিক কাজকর্মে ফোর্ট উইলিয়ামকে বিজয় দুর্গ হিসাবেই উল্লেখ করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: কলকাতায় তৈরি হল প্রথম এআই হাব, বাণিজ্য সম্মেলন থেকেই উদ্বোধন মমতার
advertisement
মূল দূর্গটি তৈরি হয়েছিল ১৬৯৬ সালে। তা তৈরি হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে । এই দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে। শোনা যায়, এক সময় এই দুর্গ আক্রমণ করেছিলেন বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। তাতে বিস্তর ক্ষয়-ক্ষতি হয় এই দুর্গের। এর পরে ১৭৮১ সালে লর্ড ক্লাইভ দুর্গটি পুনর্নির্মাণ করেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উপনিবেশিকতার ছাপ মুছতেই ফোর্ট উইলিয়ামের নাম বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: এখনই যাচ্ছে না ‘সোয়েটার-কম্বল’, শীতের ‘শেষ কামড়’ এখনও বাকি, কবে ফিরছে ‘১৬ ডিগ্রি’?
সরকারি সূত্রে খবর, কিচেনার গেটের নামও বদলে গিয়েছে। ভারতীয় সেনার প্রথম ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ’-এর নামে গেটেটির নাম হবে ‘মানেকশ’ গেট । এই পরিবর্তনের অবশ্য বিশেষ কারণও আছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনিই ছিলেন ভারতীয় সেনার প্রধান। শুধু তাই নয়, সেনা বাহিনীর প্রাক্তন থেকে শুরু করে বর্তমান আধিকারিকদের অনেকই মনে করেন মুক্তিযুদ্ধে তাঁর রণনীতির কাছেই হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে । অধুনা বিজয় দুর্গের ভিতরে একটি ভবনের নাম ছিল রাসেল ব্লক । সেটিরও নাম বদল হচ্ছে । এখন থেকে নতুন নাম হবে বাঘাযতীন ব্লক । ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঘাযতীন একটি উজ্জ্বল নাম । ভালো নাম যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় হলেও সকলের কাছেই তিনি বাঘাযতীন। ১৯১৫ সালে ওড়িশায় ইংরেজ পুলিশের গুলিতে প্রাণ যায় বাংলার এই বীর সন্তানের ।