প্রসঙ্গত ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে রানিকুঠির ওই নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে এক চার বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল স্কুল। দিনের পর দিন স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ ছিল,স্কুল কর্তৃপক্ষের চরম গাফিলতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আদৌ ভাবিত নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সেই সময় গড়ে উঠেছিল অভিভাবকদের ফোরাম। স্কুলের গেট আটকে অভিভাবকরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্ষোভে সামিল হন।
advertisement
আরও পড়ুন : বন্ধ হয়ে যায় বড় ব্যবসা, রাজমা-চাউলের উপর ভরসা করেই আর্থিক ভরাডুবি থেকে রক্ষা দম্পতির
ছোট্ট ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন স্কুলেরই শারীরশিক্ষা বিভাগের শিক্ষক অভিষেক রায় এবং মোঃ মফিজউদ্দিন। এই ঘটনায় সেই সময় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। এই স্কুলের অনুসরণে বিভিন্ন স্কুলে অভিভাবকদের সংগঠন গড়ে ওঠে। বহু স্কুলেই অভিভাবকরা আবেদন জানান ছাত্রীদের জন্য শারীরশিক্ষা বিভাগে কোনও পুরুষ শিক্ষক রাখা চলবে না।
আরও পড়ুন : প্রকৃতির কী খেলা! তীব্র তুষারঝড়ে বরফে ঢাকল শুষ্ক মরুভূমি
শেষপর্যন্ত দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া চলার পর বুধবার আলিপুর বিশেষ পকসো আদালতে এই দুই শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বিচারক মানসরঞ্জন সান্যাল এই দুই শিক্ষকের সাজা ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, জরিমানা ছাড়াও নির্যাতিতা শিশুকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।