কে নেই সেই তালিকায়? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই প্রচারকের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করা বাবুল সুপ্রিয়। প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে। এছাড়াও তারকা প্রচারকের তালিকায় রয়েছে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়, রাহুল সিনহা, প্রাক্তন মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা, শমীক ভট্টাচার্য, রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায় , লকেট চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ তিওয়ারি, শাহওয়াজ হোসেন, হরদীপ সিং পুরি ও দীনেশ ত্রিবেদীর নাম।
advertisement
আরও পড়ুন: 'মানুষ ভোট দিতে পারলে আমিই জিতব', 'নানীবাড়ি' থেকে যুদ্ধে নামছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল!
ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে দোলাচল সৃষ্টি হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। গেরুয়া শিবিরের অন্দরে অনেকেই প্রার্থী হতে চাননি বলে খবর। যাঁদের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে মিঠুন চক্রবর্তীও ছিলেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মিঠুন সহ অনেকেই মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাননি বলে খবর। ফলে ভবানীপুরের প্রার্থী নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল বিজেপির অন্দরে। শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী প্রিয়ঙ্কাকেই প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করল বিজেপি। আর এরপরই তারকা প্রচারকের লম্বা তালিকা প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির বুঝিয়ে দিল, ভবানীপুরকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে দলের তরফে।
অবশ্য প্রচারে শুরু থেকেই কয়েক কদম এগিয়ে আছে তৃণমূল। দলনেত্রীর হয়ে উপনির্বাচনে প্রচারের জন্য ২০ জনের তারকাখচিত দল তৈরি করেছে তৃণমূলও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারকের তালিকায় প্রথমেই নাম রয়েছে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। তাছাড়া নাম রয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দলের বর্ষীয়াণ নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, যুবনেত্রী সায়নী ঘোষেরও।