গোটা রাজ্যে যুবসমাজের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে বলা হয়েছে। যে সব এলাকায় বিজেপির সাংসদ বা বিধায়কেরা রয়েছেন, সেখানে তাঁদের উদ্যোগে, যেখানে বিজেপির জনপ্রতিনিধি নেই, সেখানে সাংগঠনিক উদ্যোগে এই খেলাধুলোর আসর আয়োজন করার নির্দেশ বৈঠকে দেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি।গীতা পাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভালো। আগামী বছর বাংলায় গুরুত্বপূর্ণ ভোট বৈতরণী পার করতে স্বামী বিবেকানন্দর এই বাণীই আপ্তবাক্য হিসেবে ধরছে বঙ্গ বিজেপি।
advertisement
আর সেইমতোই রাজ্যে এলাকাভিত্তিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের । বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের অভাব বিজেপি থেকে ক্রমশ দূরে ঠেলে দিচ্ছে যুব সমাজকে। এহেন প্রবণতা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে গেরুয়া শিবিরকে।
এই পরিস্থিতিতে তাই যুব সমাজের ভোটব্যাঙ্কই অন্যতম লক্ষ্য বিজেপির। এলাকায় এলাকায় ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে যুব সমাজের একটি বড় অংশকে কাছে টানতে মরিয়া হয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এর মাধ্যমে আদতে জনসংযোগে জোর দিতে চাইছেন বিজেপি নেতারা। সূত্রের খবর, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি সাংগঠনিক মণ্ডল কমিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে চলেছে গেরুয়া বাহিনী। তবে এই টুর্নামেন্ট বিজেপির ব্যানারে হবে না। কোনও দলীয় পতাকাও থাকবে না। কিন্তু আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন পদ্ম নেতারাই।
সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোর্তিময় সিং মাহাতোর উপরে ভার বর্তেছে এই অরাজনৈতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট সফল করার।তাৎপর্যপূর্ণ হলো, স্বামী বিবেকানন্দের নামে এই টুর্নামেন্টের নাম ‘নরেন্দ্র কাপ’ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। ১১ সেপ্টেম্বর বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগোতে তাঁর বিখ্যাত ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই দিনটাকে স্মরণ করেই ১১ সেপ্টেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।তবে এই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম কী হবে, কবে থেকে শুরু হবে এবং ঠিক কী ফর্মে হবে, সে সব চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে নারাজ বঙ্গ–বিজেপির কোনও পদাধিকারী।
Susmita Mondal