বিশেষ করে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় নদীভাঙনের সমস্যা প্রকট হওয়ায় সেখানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যে রতুয়ার প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) সাত দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিহারে গঙ্গার ১৫ কিলোমিটার নদীপারে একই মডেলে পরিকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ১৫ কিমি অংশের জন্য ডিপিআর তৈরির কাজও জোরকদমে চলছে এবং ৪৫ দিনের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হবে।
advertisement
এ ছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গের ভাঙন রোধ প্রকল্প কার্যকর করতে আন্তঃরাজ্য সীমানায় অবস্থিত চ্যানেলে ১৫ কিমি ড্রেজিংয়ের জন্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডকে দ্রুত এনওসি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া জানান, “ওরা টাকা না দিলে বাংলাকে কিছু করতে হবে। ৪৫ দিন পরে আবার একটা মিটিং হবে।” প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডকে এই কাজের জন্য কোনও টাকা দিতে হবে না। কিন্তু বাংলা ও বিহার এই প্রকল্পে কাজ করবে। পশ্চিমবঙ্গের খরচ হবে ৬১০ কোটি টাকা। বিহারকে দিতে হবে ৫৮১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: কোন ‘ভিটামিনের’ অভাবে ঘুমের মধ্যে পায়ের ‘শিরা’ ফুলে ওঠে জানেন…? সময়ে ‘সতর্ক’ হন!
তবে বাংলা টাকার ব্যবস্থা করলেও, বিহার আদৌ এই টাকা দেবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। সেচমন্ত্রী মানস ভুইয়াঁ অবশ্য বলেছেন, “গঙ্গা-ভাঙন নিয়ে ২০১৪-য় মুখ্যমন্ত্রী মমতা কেন্দ্রের কাছে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন। কেন্দ্র তা কার্যকর করেনি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মালদহ ও মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাজ্য সরকারকেই করতে হচ্ছে। দল নির্বিশেষে কেন্দ্রের এই মনোভাব বদলের জন্য চাপ দেওয়া উচিত।”
মালদহে গঙ্গা ভাঙ্গন রোধে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ, ভাঙনপ্রবণ এলাকায় Geotextile Tube দেওয়া, এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। এছাড়াও, রাজ্য সরকার ভাঙন রোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অর্থ বরাদ্দ করার জন্য আবেদন করেছে।