২০ জানুয়ারি, আদতে কলকাতার কাঁকুরগাছির বাসিন্দা, বর্তমানে নিউটাউনের বাসিন্দা ৮৯ বছর বয়সী নির্মল চন্দ্র দাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইন্সটিটিউটে বা সিএনসিআই হাসপাতালে ভর্তি হন। ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার নির্মল চন্দ্র দাস মারা যান। এরপরই তার পরিবারের পক্ষে থেকে 'গণদর্পন' সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই ফের দুর্যোগ! সরস্বতী পুজোয় রাজ্যের 'এই' জেলায়গুলিতে তুমুল বৃষ্টি
advertisement
প্রসঙ্গত, আমাদের রাজ্যে এই গণদর্পন সংস্থা দীর্ঘদিন ধরে মরণোত্তর দেহদান কর্মসূচির পথিকৃৎ হিসেবে কাজ করছে। নির্মল দাস মৃত্যুর আগেই দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। আর তার মৃত্যুর পরই তার দুই ছেলে বাবার দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে ব্যবহারের জন্য দানের প্রক্রিয়া শুরু করেন। বৃদ্ধের মৃত্যুর পরেই গণদর্পনের পক্ষ থেকে দ্রুত যোগাযোগ করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সোমনাথ দাসের সঙ্গে। তিনি জানান, ওমিক্রন আক্রান্ত সন্দেহে নির্মল চন্দ্র দাসের দেহ যদি রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত বা প্যাথলজিক্যাল অটোপসি করা হয়, তবে ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: নজিরবিহীন নয় 'স্বতন্ত্র' প্রস্তাব, আগেও দু'বার বাংলার সঙ্গে যোগ রয়েছে, জানুন...
তিনি আরও জানান, 'সাসপেক্টেড ওমিক্রন ভাইরাস মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সেই কারণে প্যাথলজিক্যাল অটোপসি অত্যন্ত জরুরী শরীরের কোনও অঙ্গে ওমিক্রন আঘাত হেনেছে কিনা, তা বোঝার জন্য।' এই সত্যানুসদ্ধানে গণদর্পনের পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারের পাশে সবসময়ের জন্য থাকা হচ্ছে বলে জানান গণদর্পনের অন্যতম সম্পাদক শ্যামল চট্টোপাধ্যায়।
এ ছাড়াও শ্যামল চট্টোপাধ্যায় আরও জানান, 'মরণোত্তর দেহদান আন্দোলন যার হাত ধরে এই রাজ্যে শুরু হয়েছিল, সেই ব্রজ রায় যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান, তখন তার দেহ দেশের মধ্যে প্রথম প্যাথলজিক্যাল অটোপসি বা রোগ নির্ণায়ক ময়না তদন্ত করা হয় এই আরজি কর হাসপাতালে। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের মোট ২২ আক্রান্তের এমন ধরনের ময়না তদন্ত হয়েছে। ওমিক্রন আক্রান্ত নির্মল চন্দ্র দাসের দেহের ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ হলে তা সত্যিই ইতিহাস হবে।'
ABHIJIT CHANDA