মুহুর্মুহু বোমাবাজি। বহিরাগতদের দাপাদাপি। কলেজের রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই নজিরবিহীন গোষ্ঠী সংঘর্ষ। কোনও যুদ্ধক্ষেত্র নয়, ছবিটা দক্ষিণ বারাসতের ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজ চত্ত্বরের।
গত কয়েকদিন ধরেই ছাত্র ভরতি নিয়ে উত্তপ্ত ছিল ধ্রুবচাঁদ হালদার কলেজ। সম্প্রতি কলেজের ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় ৷ নতুন করে ভোটের প্রস্তুতি হতেই সক্রিয় হয় দুই গোষ্ঠী ৷ কলেজের দখল কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে সংঘর্ষ ৷
advertisement
এদিন ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য কলেজে এসেছিলেন নতুন ছাত্ররা । আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগের তির এলাকার বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির অনুগামীদের দিকে। কলেজে তল্লাশির পর ব্যাপক তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
আরও পড়ুন
শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের দাবিতে আরও একটি মামলা আদালতে, তবে কি বন্ধ হয়ে যাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া?
কলেজে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, বোমাবাজি, গুলি চলার খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হন নিউজ18 বাংলার প্রতিনিধি অর্পণ মন্ডল। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় মোবাইল। কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরাও। আহত অর্পণকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন
১২৫ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার
কলেজে কলেজে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যের অল্প কিছু গোলমাল হয়েছে ৷ বাইরের লোকেরা কলেজে গোলমাল করছে ৷ এর বিরুদ্ধে আমরা সবরকম চেষ্টা করব ৷’