এরপর ফিরহাদের কাছে জানতেও চাওয়া হয় মেয়র পদে কি ফের আপনিই? এক্ষেত্রে কিছুটা কৌশলী উত্তরই দিয়েছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, ''এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রেখেছেন। এই জয় মানুষের বিশ্বাসের জয়। কলকাতায় এত বড় জয় আগে কখনও তৃণমূল পায়নি। এত বড় জয়, দায়িত্বও বেড়ে গেল তৃণমূলের।'' ফিরহাদের সংযোজন, ''আমরা কোভিড পরিস্থিতিতে বিজয়োল্লাস করতে বারণ করেছি। তবে এটা ঠিক এতদিন ধরে যারা পরিশ্রম করেছেন, সাফল্য এলে তারা তো একটু বহিঃপ্রকাশ করবেই। একটু নাচানাচি হবে, এটা তো স্বাভাবিক।’
advertisement
আরও পড়ুন: বিরোধী পরিসরে জমি হারাচ্ছে BJP, 'উত্থান' বামেদের! বুঝিয়ে দিল কলকাতার ভোট
কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। নিজের বাড়ির ওয়ার্ড, হাতের তালুর মতো চেনা। আসলে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সক্রিয় হস্তক্ষেপেই এবার বিধায়ক, সাংসদরা ফের প্রার্থী হন। শুধু নিজের ওয়ার্ড নয়, বন্দর এলাকার সাতটি ওয়ার্ডেও জয়ের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস তাকিয়ে ছিল ফিরহাদের দিকে। আর তাতে একশোর একশো পেয়েছেন ফিরহাদ। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভরসার মর্যাদা রাখতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের 'নামেও' নির্দল তনিমার হার, তৃণমূলের সুদর্শনার ফের বালিগঞ্জ-জয়
সেই সূত্রেই ফের ফিরহাদের নাম ফের মেয়র পদে উঠে আসছে। ২৩ ডিসেম্বর কলকাতা পুরবোর্ড গঠন হবে। সেদিনই জানা যাবে, কলকাতার মহানাগরিক কে হতে চলেছেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূলে চালু হয়েছে 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নিয়ম। যদিও সেই নিয়মের বাইরেই কয়েকজনকে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে ফিরহাদ হাকিম অন্যতম। ফলে ফের একবারে ফিরহাদের কাঁধেই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।