আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণিঝড় 'অশনি', ২ জেলায় ৩০ মিনিটের মধ্যেই নামবে কাঁপিয়ে বৃষ্টি
কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে অশনি মোকাবিলায় লড়াই করার প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। সে কথা মনে করিয়ে ফিরহাদের মন্তব্য, "সোমবার কলকাতা পুরসভার পুর-কমিশনার বিনোদ কুমারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে নিখুঁত পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত। আমরা সব থেকে বেশি চিন্তিত থাকি, বর্ষার জমা জলে বাতিস্তম্ভ থেকে খুলে থাকা তার নিয়ে। আমি আমার আলো বিভাগের প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি সবকটি ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। কোনওটার তার যেন বাতিস্তম্ভ থেকে খুলে বাইরে না থাকে। শুধু কলকাতা পুরসভার নয়। সিইএসসি এবং পূর্ত দফতরকে বলেছি তাদের বাতিস্তম্ভ গুলি থেকে তার যেন না ঝুলে থাকে। কোন মৃত্যুর ঘটনা বা বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা যেন না ঘটে। আমাদের শহরের মানুষ এখনও অসচেতন।
advertisement
জল জমার কারণ হিসাবে সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাবকেও কিছুটা দায়ি করেন তিনি। বলেন, প্লাস্টিক যত্রতত্র ফেলে দেওয়া হচ্ছে। রাস্তার গালিপিট গুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্লাস্টিকের কারণে। গালিপিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জল বার হতে পারছে না। ফলে শহরে জল নিষ্কাশিত হতে অনেক সময় নিয়ে নিচ্ছে। আমরা আবারও প্লাস্টিক নিয়ে মানুষকে সচেতন করব। মানুষকে বোঝাবো, প্লাস্টিক এভাবে যত্রতত্র ফেললে কলকাতা থেকে জল বার হতে পারবে না। জল আবার দাঁড়িয়ে যাবে। আপনাদের সমস্যা হবে। জল নিষ্কাশনে কলকাতা পুরসভা বদ্ধপরিকর।
বিশ্বজিৎ সাহা