আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য! মাত্র ২ টাকায় কচুরি-আনলিমিটেড ঘুগনি! রোজ বিক্রি হচ্ছে ছ’শো পিস
প্রশ্ন উঠছে কীসের প্রতিবাদ জানাবেন এলবিএসরা? শুক্রবার টক টু মেয়র চলাকালীন এক নাগরিকের প্রশ্ন কে ঘিরে মেয়রের মন্তব্য। তাতেই চটে লাল পুরসভার তালিকাভুক্ত এলবিএসরা। এক নাগরিক টক টু মেয়রে অভিযোগ করেন এলবিএস বাড়ির নকশা অনুমোদনে চাইছেন বিপুল টাকা।
advertisement
নকশা অনুমোদন এখন এক ক্লিকেই এমনই প্রচার ছিল কলকাতা পুরসভার। অনলাইন ব্যবস্থায় কিন্তু সরষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত। সামান্য কাজেও তাই বিপুল টাকা খরচ করতে হচ্ছে নাগরিকদের। অল্প জমির উপর ছোটখাটো বাড়ির নকশা যারা বানায় সেই এলবিএসরা এখন লুটে খাচ্ছেন। ১ কাঠা ৫ ছটাক জায়গায় বাড়ি তুলতে নকশা অনুমোদনেই ১৮ হাজার টাকা দাবি করেছেন এলবিএস। সেই অভিযোগ পেয়ে অবশ্য সুরাহা দিতে পারেনি মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপশি তিনিও নাগরিকের সঙ্গে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন।
১১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তাপস গায়েন ফোন করেন। তাঁর নিজের ১ কাঠা ৫ ছটাক জমি। টক টু মেয়র তিনি মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁকে কী প্ল্যান অনুমোদন করতে হবে? উত্তর পেয়েছিলেন, করতে হবে। কিন্তু বেশি জায়গা ছাড়তে হবে না।
এরপর তাপস বাবুর প্রশ্ন এলবিএস -কে দিয়ে নকশা করতে কত খরচ? নাগরিকের এই প্রশ্নের উত্তরে সহজেই মেয়র বলেন, ৫০০-১০০০ টাকা। তাপস গায়েন কিন্তু জানান, আমার থেকে ১৮ হাজার চাইছে!
আমনাগরিকের মুখে এরকম কথা শুনেই নিজে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাকিম। বলেন, এলবিএস-রা লোককে ধরে মুরগি করছে। সারা বছর কাজ পায়না । একটা পেলে সারা বছরের টাকা তুলতে চায়। মেয়র আরও জানান, ‘তিনি নিজে এলবিএসদের তোলাবাজির শিকার। তাঁরা ব্ল্যাকমেলিং করে। একটা মানুষ বসে ড্রইং করবে ইওডিপি মারফত আবেদন করবে। কী এমন ব্যাপার হাতি ঘোড়া। হাজার হাজার এলবিএস ঘুরে বেড়াচ্ছে। আপনি অন্য কাউকে ধরুন।’
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যাদের বিরুদ্ধে মেয়র এই মন্তব্য করেছেন বা নাগরিক অভিযোগ সেই এলবিএস-দের বাড়বাড়ন্ত পুরসভার আইনের কারনেই। কলকাতা পুরসভার একটি নির্দিষ্ট তালিকা আছে এলবিএসদের। তাঁদের বাইরে কাউকে দিয়ে করা যায় না নকশা অনুমোদন। তবে কত টাকা নকশা পিছু তার নির্দিষ্ট কোনো মূল্য নেই। ফলে আইনের সুযোগ নিয়েই নাগরিকদের রীতিমত লুট করে চলেছে বলে এলবিএসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ।