জানা গিয়েছে, এবারের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল পাশ করাতে চায় কেন্দ্র। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ চিঠিতে বিলের ফাঁকফোকর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ এবার এই বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা করলেন শাসকদলের বিধায়কেরা৷ তাঁদের দাবি, এই বিল বাস্তবায়িত হলে ন্যায়ের বদলে হতে পারে অন্যায়ও।
advertisement
এই প্রসঙ্গে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দেশের সবচেয়ে নিরাপদ শহর কলকাতা। আর অনিরাপদ শহর হল দিল্লি, যা অমিত শাহর পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে। তিন রাজ্যের ভোটে জিতেও আতঙ্কিত মোদি-শাহ। সেই কারণে ন্যায় সংহিতা বিল তাঁরা এনেছেন। ’’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আপনার সিবিআই আমার বাড়িতে এসেছে। কী পেয়েছে? ভেবেছেন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে চলে যাব? আমি যাব না। ভেবেছেন ভয় পেয়েছি? অনেকে ভয় পেয়েছে। আমরা পাইনি। পুলিশ তান্ত্রিক দেশ করতে চাইছে। ন্যায় সংহিতা বিল নিয়ে এত তাড়াতাড়ি কেন? আপনাদের নেতা তো বলেছে ৪০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে। তাহলে এত তাড়া কেন? ২০২৪ সালের ভোটের পরেই আনতে পারতেন।’’
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি! রাজস্থানে খুন করণি সেনার প্রধান, ‘গ্যাং ওয়ার’ না অন্য কিছু
স্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গার নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন সরব হন ফিরহাদ৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলায় ভিন্ন ভাষায় কথা বলার মানুষ আছেন তো। এখানে তো সব অফিসিয়াল ভাষা। খালি মোগলসরাই স্টেশনের নাম বদলে দিলেই স্টেশন বদলে যায় না। ইতিহাস আপনাকে মানতে হবে। নাম বদলে দিলেই হবে না সবকিছু।’’
ফিরহাদের কথায়, ‘‘আপনারা এই নয়া বিলের মাধ্যমে আপনারা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নিয়ে চিন্তিত। আপনারা আমাদের রাষ্ট্রদোহী ভাবেন, কারণ আমরা বিজেপি বিরোধী। এই বিলে লাভ জিহাদ নিয়ে কিছু বলছেন না। কিন্তু ঠকিয়ে বিয়ে নিয়ে সাজা বাড়িয়েছেন। যারা দেশ ভাগ করতে চায় তারা বড় সন্ত্রাসবাদী। আপনারা দেশ ভাগ করতে চাইছেন। এটা একটা বর্বরোচিত বিল।’’