আগামী ১১ জুলাই, সোমবার শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন হওয়ার কথা৷ কিন্তু ওই সময় জিটিএ-এর নতুন বোর্ডের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন: বড় খবর! সোমবারই শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু হতে পারে পরিষেবা
ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'বাংলার মানুষকে এভাবে বোকা বানানো যায় না। বাংলার মানুষ জানে মেট্রো সম্প্রসারণ থেকে পরিকল্পনার পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। এই প্রকল্পের ছাড়পত্রটাও রেল বোর্ড যখন দিল, তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রোর সঙ্গে সব সময় সহযোগিতা করা হয়েছে। জমি দেওয়া সহ পদে পদে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, এমন কি বউবাজারের ঘটনা, তাতেও আমরা দৌড়ে গিয়েছি। সহযোগিতা করেছি কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়। কাজের যেন কোনও অসুবিধা না হয় আমরা তার ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়াও মেট্রোর বিভিন্ন প্রকল্পে শুধুমাত্র জমির জন্য প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বেশি মুখ্যমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়ে মকুব করিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কেএমডিএ-র জমি বিনামূল্যে মেট্রোকে দেওয়া হয়েছে। তার পরেও এই অসৌজন্য। কবে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না, এই বাহানা করে দুম করে তারা উদ্বোধন করে দেবেন।
advertisement
ক্ষুব্ধ ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী তোমাদের উদ্বোধনের যাওয়ার জন্য লালায়িত নয়। এই সমস্ত মেট্রো রেলগুলি যাতে সফলভাবে চলে তার জন্য পরিবহণ দফতর একটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানিং তৈরি করেছে। শুধু মেট্রো চালালে লোক আসবে না। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যদি সমন্বয় না থাকে, তাহলে এরা মানুষের কাজ করবে কি করে? শুধু হিংসা! উন্নয়ন রাজ্যের জন্য নয়, মানুষের জন্য নয়, শুধু পার্টির জন্য, বিজেপি-র জন্য।'
প্রসঙ্গত, শিয়ালদহ মেট্রোর উদ্বোধন করার কথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির৷ স্থানীয় সাংসদ এবং জনপ্রতিনিধিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ তবে রাজ্যের তরফে আর কাউকে আবেদন করা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷