দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে ঘন্টাখানেকের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। মুচিপাড়া থানা এলাকার ১১ নম্বর প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিট, কলকাতা পুরসভার হিসেবে বসত বাড়ি বলে চিহ্নিত হলেও আদতে এখানে গয়নার কারখানা ছিল।
ঘিঞ্জি গলির মধ্যে এই বাড়িতে সোনা, রূপোর গহনা তৈরি হত। কারখানার মধ্যে প্রচুর দাহ্য পদার্থ, রাসায়নিক মজুত ছিল। ফলে প্রাথমিকভাবে দমকলের কর্মীদের হিমশিম খেতে হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে।
advertisement
আরও পড়ুন- খারিজ ২ রাজ্যের, পঞ্চায়েতে ঘাটতি মেটাতে আরও ৫ রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ চাইছে নবান্ন
এই বাড়িটি ছাড়াও লাগোয়া আরও তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির আড়ালে চলছিল এই গয়নার কারখানা।
কারখানার মধ্যে ঠাসা ছিল বিভিন্ন রাসায়নিক। বছর সাতেক আগেও এখানে একবার আগুন লাগে। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এখান থেকে কারখানা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। আর এবার আগুনের কবলে শুধু কারখানা নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হলো কারখানা লাগোয়া আরও তিনটি বাড়ি।
তবে কোনো রকমে রেহাই পেয়েছে বাড়ির বাসিন্দারা। পরে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রম রম করে এই গয়নার কারখানা চলত।
স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে শুরু করে পুরসভা, সর্বত্রই এই কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। আর শুধু এই বাড়ি নয়, বৌবাজার জুড়েই সর্বত্র এই ধরনের নানা বেআইনি কারখানা রমরমিয়ে চলছে প্রশাসনের নাকের ডগায়।
আরও পড়ুন- বিরোধীদের সব অভিযোগ মিথ্যা, মনোনয়ন-তথ্য তুলে ধরে বড় দাবি অভিষেকের!
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে জানান, তাঁর কাছে এই রকম কোনও অভিযোগ আগে আসেনি। ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কীভাবে এই কারখানা চলত, তা নিয়েও তিনি এদিন বিস্ময় প্রকাশ করেন।
যদিও এই অগ্নিকাণ্ড আরও একবার প্রমাণ করে দিল, আইন না মানার প্রবণতা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে এবং প্রশাসন কতটা নির্বিকার থাকতে পারে।