মঙ্গলবার ভোরে চারটেও বাজেনি তখন। চোখের সামনে দাউদাউ করে দোকান আগুন জ্বলতে দেখেন বাসিন্দারা। ফোন করে খবর দেন দমকল ও থানাতে। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আসে। পরে আরও দুটি ইঞ্জিন নেসে আগুন নেভানোর কাজ তদারকি করে। হতাহতের কোন খবর নেই। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের কর্মীদের দু'ঘণ্টা কাজ করতে হয়। তার পরও চলে কুলিং-এর কাজ। প্রাথমিকভাবে বাজার কমিটি এবং দমকলের ধারণা শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। চায়ের দোকান থেকে অন্য দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনা হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণে দ্রুত আগুন ছড়িয়েছে, এমনটাই অনুমান দমকল অধিকারিকদের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিউটাউন থানার পুলিশও।
advertisement
স্থানীয়দের দাবি, ভোর চারটে নাগাদ প্রথমে একটি দোকানে আগুন দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি দোকানে। দমকলে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে প্রথমে আসে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন, পরে পৌঁছয় আরও দুটি ইঞ্জিন। ততক্ষণে বাগজোলা খাল পাড়ে পরপর ২০ টির বেশি দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন : রাজস্থানের পুষ্করের মন্দিরে আজ দুপুরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে খালপাড়ের কাপড়ের দোকানেই থাকেন মাধবী বিশ্বাস । এদিন রাতেও ঘুমিয়ে ছিলেন সেই কাপড়ের দোকানে। আচমকা আগুন লাগতেই তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন। ঘুমন্ত ছেলেকে নিয়ে কোনওরকমে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তার স্বামীও ঘুম থেকে উঠে ছুটে আসেন বাইরে। চোখের সামনে দাউদাউ করে পুরো শাড়ির দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যেতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাধবী। বললেন " পুজোর সময় অনেক বেশি করে মাল তুলেছিলাম, এখন সব পুঁজি শেষ। লোন করে ব্যবসা বাড়িয়েছিলাম। চোখের সামনে সব শেষ হয়ে গেল।"
আরও পড়ুন : রাজস্থান সফরে আজ আজমের শরিফে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আর এক স্থানীয় বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডল আগুন লাগতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেরাই বালতি হাতে জল দিতে শুরু করেছিলেন। তাঁর দোকানের দেওয়াল ইটের। সেই কারণে কোনও মতে রক্ষা পেয়েছে তাঁর দোকান। তা না হলে সংখ্যা বাড়ত ভস্মীভূত দোকানের।