আগুনের আভাস বুঝেই দ্রুত খবর পৌছানো হয় দমকল দফতরে, সেখান থেকে প্রথম চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। যদিও তার মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখায় তছনছ হয়ে গেছে তিলজলার ওই এলাকা। বহুতলের নীচের দিকে বিপুল পরিমাণের রবারের জুতো তৈরি সামগ্রী ও রবারের জুতো মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের আধিকারিক আগুনের দ্রুততা বুঝতে পেরেই আরও গাড়ি ডেকে নেন। দমকলের দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবার পরে পাশের পুরসভার ওয়াটার রির্জাভার থাকায় জলের যোগানে সুবিধা হয় দমকল কর্মীদের।
advertisement
আরও পড়ুন - Health Tips: শীতকালের এই সস্তার ফল কামাল করে, ডায়াবেটিস হবে কন্ট্রোল, বাড়াবে হাড়ের জোর, গুণ লুকিয়ে অনেক
প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আগুনের শিখা ততক্ষণ গ্রাস করেছে ওই বহুতলের প্রায় পুরোটাই। ওই আবাসনের প্রথম তলে রবারের জুতো মজুত রাখার ফলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কিন্তু দমকল কর্মীদের নজর ছিল আগুন যাতে ছড়িয়ে না পড়ে। বহুতলের নিচের দিকের তিনটি তল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাকি তলার ক্ষতি হবার আশঙ্কা অনেকটাই কম।
আরও পড়ুন - Lifestyle Tips: শীত তো পালাল, কাচাকাচির চক্কর ছাড়াই পরিষ্কার করে তুলে ফেলুন লেপ -কাঁথা
আগুনের ভয়াবহতার খবর দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর কানে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়ে দমকল আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে ঘটনা ব্যাপকতা বোঝার পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার ছেষট্টি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফৈয়াজ আহমেদ খানের সাথেও কথা বলেন। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে কিন্তু দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জল দেবার কাজ করেছে ও কোন ব্যাক্তি আটকে নেই বা আহত হবার মত খবর নেই। তবে অগোছালো বৈদ্যুতিক তার নিয়ে অডিট হচ্ছে তার মধ্যে এগুলোও নজরে আসছে। কলকাতা পুরসভার ছেষট্টি নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফৈয়াজ আহমেদ খানের বক্তব্য, আগুন ছড়িয়ে পড়লেও দমকল বাহিনী দ্রুত মোকাবিলা করেছে। এই ঘটনার পরে ফের প্রশ্ন উঠলো কি করে বসতিপূর্ণ এলাকায় রাবারের জুতো তৈরি মত কারখানার অনুমতি মিলল? মঙ্গলবার দমকল বাহিনীর সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মী এসে ওই আবাসনের গ্রিল ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
Susovan Bhattacharjee