কিছু সময়ের মধ্যেই তড়িৎ এর গতিতে পাশের আরও একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লেগে যায়। সেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে দোকানের উপরে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত ঘরে ছাড়তে বলা হয় বাসিন্দাদের তরফে। ঘুম চোখ খুলেই এই দৃশ্য দেখে তড়িঘড়ি রাস্তায় ঠাঁই নেই প্রায় ছয় থেকে সাতটি পরিবার। আগুনের লেলিহান শিখা ও দমবন্ধ ধোঁয়ায় বাসিন্দারা দ্রুত ঘর ছাড়তে বাধ্য হন শুক্রবার ভোরের দিকে। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে। দোকানের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা আয়ত্তে আনতে দমকল সক্ষম হলেও কালো ধোঁয়ায় কার্যত দমকল বাহিনীকে নাজেহাল করে দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের খুনি নালা, নিখোঁজ বাংলার ৫ শ্রমিক কোথায় গেলেন? তুমুল রহস্য ভূস্বর্গে
বন্ধ দোকান ভেঙে দ্রুত আগুন আয়ত্তে আনতে পরে সক্ষম হয় দমকল বাহিনী। অত্যাধিক ধোঁয়া থাকার ফলে পাশের আরও একটি দোকান আংশিক ঝলসে যায়। স্থানীয় এক বাসিন্দা মহম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, সকালে হটাৎ ধোঁয়া দেখে সবাইকে রাস্তায় আসতে বলা হয়, তার মধ্যে আগুন ব্যাপক চেহারা নিলেও দমকল বাহিনী এসে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য বাসিন্দা জে মল্লিক জানান, মূলত পর্দার দোকান থাকার জন্য খুব তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়ে পড়ে তবে দমকল অনেকটাই বিপদ থেকে বাঁচিয়েছে।দুটো দোকান পুরোপুরি পুড়ে ছাই ও একটি দোকানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ নবান্নে জরুরি বৈঠকের ডাক! কী এমন ঘটল? কারা থাকছেন সেখানে?
সব মিলিয়ে লক্ষধিক টাকার ক্ষতি তো হবেই। দমকল বাহিনীর এক অফিসার জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে, ফলস সিলিং এর জন্য বেশি ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল, কি কারনে আগুন তা পড়ে তদন্তে উঠে আসবে। দুটি পুড়ে যাওয়া দোকানে কোন অগ্নি নির্বাপক ব্যাবস্থা ছিল কিনা তাও পরে তদন্তে দেখা যাবে, কোন ব্যাক্তির আহতের খবর নেই। শুক্রবার ভোররাতের অগ্নিকাণ্ডের দমকল কর্মীদের ধোঁয়া অনেকটা সমস্যা ফেললেও ফলস সিলিং ভেঙে দেবার পরেই দমকল বাহিনী নিশ্চিত হয় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে।
---সুশোভন ভট্টাচার্য