মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়৷ গত ১৫ জুন ভাঙড়ে অশান্তি চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার৷ এ ছাড়াও আরও দু জন প্রাণ হারান৷ খোদ তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, ভাঙড়ে শাসক দলের দুই কর্মী নিহত হয়েছেন৷
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে খরচ কত হতে পারে? রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আঁতকে ওঠার মতো পরিসংখ্য়ান
advertisement
যদিও শাসক শিবিরের এই দাবি মানতে নারাজ আইএসএফ৷ প্রথম থেকেই অশান্তির ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল আরাবুল এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে৷ তৃণমূল নেতার গাড়িও ভাঙচুর করা হয় ভাঙড়ে৷ হাকিমুল ইসলামের গাড়িতে বোমা মেলারও অভিযোগ ওঠে৷
আরাবুল সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র আইন সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ যদিও আরাবুল ইসলাম এ দিন দাবি করেন, ‘কোনও মারপিট, গন্ডগোলে আরাবুল ইসলাম বা তার ছেলেরা ছিল না৷ ওদের লোকের গুলিতে ওই ছেলেটি যেমন মারা গিয়েছে, তেমনই আমাদের দু জন মারা গিয়েছে৷ নওশাদ সিদ্দিকি এবং আইএসএফ নেতৃত্ব আরাবুল ইসলাম, হাকিমুল ইসলামকে ফাঁসানোর জন্য এই অভিযোগ করছে৷’
শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে কাশীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহত আইএসএফ কর্মীর বাবা৷ আরাবুল ইসলাম অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি বা তাঁর ছেলে কোনও ভাবেই এই খুনের সঙ্গে যুক্ত নন৷ ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন আরাবুল৷