এদিন নির্মলা দ্বিতীয় প্রজন্মের জিএসটির সুবিধা বোঝাতে বলেন, ’’এটি চালু করার অনেক দিন ভাবা হয়েছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদী পিতৃপক্ষের জন্য দিন পিছিয়ে দেন। আমরা ঠিক করি, বাংলার তথা দেশের সর্ববৃহৎ উৎসব পুজোর আগেই চালু করা হবে নেক্সট জেন জিএসটি।’’
advertisement
যাতে মাত্র দুটি স্তরের জিএসটির পুরোপুরি সুবিধা তুলতে পারেন বাংলা-সহ সাধারণ মানুষ। পাওয়ার পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেক্টের মাধ্যমে তিনি স্তরে স্তরে বুঝিয়ে দেন কেন্দ্রের পদক্ষেপের দিকগুলি। ‘‘পুজোয় যত খুশি রসগোল্লা খান, বিক্রি করুন’’, বাঙালিকে মজা করে বললেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। দুধ, পনির, দইয়ের জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যে আনা হয়েছে। পনির শব্দটি বলে একগাল হাসলেন নির্মলা। বললেন, ‘‘পনির। বেঙ্গল, পনির থেকে সমস্ত কর তুলে নেওয়া হয়েছে। পুজো শুরু করুন আনন্দে, হাসিমুখে। যত খুশি রসমালাই আর রসগোল্লা খান।’’
বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানের জটিল অর্থনীতির ঘোরপ্যাঁচের মধ্যেও হালকা মেজাজে বাংলার মানুষকে জিএসটির উপহার ব্যাখ্যা করেন সীতারমণ। পুজোর মুখে বাংলার মানুষকে কেনাকাটায় বিশাল সুবিধা দেওয়ার জন্যই পিতৃপক্ষের শেষে মহালয়া কেটে গেলেই দেশজুড়ে পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি চালু হতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইচ্ছা অনুসারেই এই দিনটিকে অর্থাৎ নবরাত্রির সূচনায় জিএসটি চালু হচ্ছে। ফলে বাংলার নবপ্রজন্মের ছেলেমেয়েরা নিজের ইচ্ছেমতো কেনাকাটা করতে পারবে। উনডো শপিংয়ে নিজেদের বদ্ধ না রেখে প্রাণ খুলে পছন্দের জিনিস কিনতে পারবে। বৃহস্পতিবার কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগার ভাষা ভবনে নেক্সট জেন জিএসটি শীর্ষক এক আলোচনাসভায় একথা বলেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।