Kitchen Tips: রান্নাঘরে নুন, লঙ্কা পাশাপাশি রেখেছেন? সর্বনাশ! বাস্তুমতে সংসারে কী প্রভাব পড়ছে জানেন? কোন কোন জিনিস একসঙ্গে রাখতে নেই? এখনই জানুন

রান্নাঘর কেবল মাত্র খাবারের জায়গা নয়, বাস্তুশাস্ত্রমতে এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, রান্নাঘর বাড়ির প্রধান শক্তিকেন্দ্র। তাই সংসারের উন্নতির জন‍্য রান্নাঘরে জিনিসপত্র রাখার আগে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।

ভাঁড়ার ঘর পরিষ্কার এবং বাস্তু নিয়ম অনুযায়ী থাকলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবীর কৃপায় সংসারে আসে সুখ-শান্তি, ঘরে আসে সম্পদ। কিন্তু, ভাঁড়ার ঘর অগোছালো এবং অপরিষ্কার থাকলে এটি নেতিবাচক শক্তি বাড়ায়।

এই নেতিবাচক শক্তির প্রভাবে বাড়ির সমস‍্যা বাড়ে। পরিবারের সদস‍্যদের মধ‍্যে ঘনঘন ঝগড়া, অশান্তি হয়। শুধু তাই নয় রান্নাঘরে সঠিক নিয়ম না মানলে আর্থিক সমস‍্যাও দেখা দিতে পারে জানাচ্ছেন বাস্তুবিশেষজ্ঞরা।

নুনের পাত্র: নুনের পাত্র রাখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অবশ‍্যই মেনে চলা উচিত। নুন সবসময় কাচের পাত্রে রাখা উচিত। এভাবে রাখলে বাড়িতে ইতিবাচক শক্তি আসে।

লোহা বা অন্যান্য ধাতব পাত্রে লবণ রাখা অশুভ। এতে পরিবারে সমস্যা, আর্থিক অসুবিধা আসতে পারে। নুনের পাত্র কখনও খালি রাখা উচিত নয়। এটি দারিদ্র্যের সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রতিবেশীদের সঙ্গে অনেক বস্তুরই বিনিময় করা হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তুবিদরা জানাচ্ছেন নুনের বিনিময় কখনও করা উচিত নয়। একটি পাত্রে রেখে দিতে হবে। ছাড়াও, অন্যের বাড়ি থেকে লবণ নেওয়া দারিদ্র্য ডেকে আনে। শুক্রবার লবণ পাত্র পূর্ণ করলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় বলে বাস্তু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন।

নুন এবং লঙ্কা একসঙ্গে রাখা উচিত নয়। রান্নাঘরে নুন, চিনি এবং লঙ্কা একসঙ্গে রাখলে মনোমালিন্য, ঝগড়া হয় বলেই জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। তিনটি আলাদা আলাদা পাত্রে রাখতে হবে।

বিশেষ করে নুন এবং চিনি একসঙ্গে রাখলে দারিদ্র্য আসে বলেই জানাচ্ছে বাস্তুশাস্ত্র। পরিবারে শান্তি বজায় রাখতে এই জিনিসগুলি কখনও একসঙ্গে রাখা উচিত নয়।

হলুদ শুধুমাত্র একটি রান্নার উপাদান নয়, এটি শুভ, উন্নতি, বাড়ির শান্তির প্রতীক। তাই হলুদ পাত্রের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। লবণ পাত্রের মতো হলুদ পাত্র কখনোই খালি রাখা উচিত নয়।

হলুদ পাত্রে একটি মুদ্রা, তিনটি লবঙ্গ রাখলে অনেক ভাল হয়। বাস্তু অনুযায়ী, হলুদ গুরুদেবের প্রতীক, মুদ্রা লক্ষ্মীদেবীর প্রতীক, লবঙ্গ ধনের প্রতীক। এই তিনটি একসঙ্গে থাকলে বাড়িতে সম্পদ, সুখের অভাব হয় না বলে বিশ্বাস

ভাঁড়ার ঘরের পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্যবিধি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, বাস্তু নিয়ম মেনে চলাও তেমনই গুরুত্বপূর্ণ। এই ছোট ছোট নিয়মগুলি মেনে চললে বাড়িতে আর্থিক, মানসিক, পারিবারিকভাবে ভাল হয়। নেতিবাচক শক্তি দূর হয়ে, ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হয়। আপনার ভাঁড়ার ঘরকে এই নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করে আপনার বাড়িতে সুখ, সম্পদ ধরে রাখুন।(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ )