আনন্দ পল্লীর বাসিন্দা নিজের ১৫ বছরের কিশোরী কন্যাকে বাড়ির তিন তলার বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে দেয় বলেই অভিযোগ। স্থানীয় লোকজন আহত কিশোরীকে এম.আর. বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। নাবালিকা বর্তমানে সেইখানেই চিকিত্সাধীন। এক প্রতিবেশীর দাবি, চিকিত্সকরা জানিয়েছেন নাবালিকার গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। ডান পা প্লাস্টার করা হয়েছে। নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
advertisement
সূত্রের খবর, বাবা ও মেয়ে থাকতেন বাড়িতে। নাবালিকার মা দীর্ঘদিন থাকেন না এইবাড়িতে। প্রতিবেশীদের দাবি গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়িতে কোনও ঝামেলা হয়েছিল, তার শব্দ শুনেছিলেন তারা। তারপর রাত ১ টা নাগাদ জোরে আওয়াজ শুনে বেরিয়ে দেখেন নাবালিকা পড়ে রয়েছেন ফ্ল্যাটের বাইরে রাস্তায়।
অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীদের দাবি, প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন ওই ব্যক্তি। মেয়েটি ছোট থাকাকালীন মা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরিবারে বাবা মেয়ে ঠাকুমা ও কাকু থাকতেন। ঠাকুমা মারা যান। তারপর কোভিডে ২০২০ সালে কাকা মারা যাওয়ার পর বাবা ও মেয়ে থাকতেন ওই বাড়িতে।
ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবারের প্রতিবেশী পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার পিতাকে।