ভারতে কৃত্রিম উপায়ে প্রজজন এবং টেস্ট টিউব বেবি গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভা গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে বিশিষ্ট চিকিৎসক সম্মানে সন্মানিত করা হয়। সল্টলেকে ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন।
আরও পড়ুন: 'দমদার হারবার', পয়লা বৈশাখে নতুন উপহার নিয়ে হাজির হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়!
advertisement
১৭ মার্চ নিমুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে লড়াই চালাচ্ছিলেন এ বর্ষীয়ান চিকিৎসক। মার্চ মাসে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে একের পর এক অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হতে থাকেন তিনি। বয়সজনিত রোগ জাঁকিয়ে বসে তাঁর শরীরে। এরপর আজ ১৫ এপ্রিল সকালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'বগটুই কাণ্ডে সরকারি চাকরি, ভোট পরবর্তী অশান্তিতে কেন নয়?' প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল ধনখড়
প্রয়াত ড: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর ভাই অরুণ চক্রবর্তী জানান, 'কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত একমাস আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। লড়াই করছিলেন। আজকে সকালে একটা অ্যাটাক হয়। তারপরই লড়াই শেষ হয়।' বিশিষ্ট চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চিকিৎসক মহলে। শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী শোক বার্তায় লেখেন, 'তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসক ও গবেষণা জগতের ক্ষতি হল। আমি ডা: বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শুক্রবার দুপুরে দেহ তার বাসভবনে নিয়ে আসা হয়, সেখান থেকে সিআইটি রোডে তার পুরনো ক্লিনিকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে তাঁর অনুরাগীরা শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেখান থেকে তার দেহ শেষকৃত্যের জন্যে নিমতলা মহা স্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।