লালবাজারের আবেদনে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ভুয়ো পাসপোর্ট বাতিল করেছে পাসপোর্ট দফতর, বাকি ভুয়ো পাসপোর্ট বাতিল করার প্রক্রিয়া চলছে৷ লালবাজার মনে করছে, ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে একটা অংশ চলে গেলেও বড় অংশ আত্মগোপন করে রয়েছে৷
advertisement
গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর থানায় জাল পাসপোর্টের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে উৎপল মাহাতো, উদয় মাহাতো সহ মোট ৩৭ জনের নাম। এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করানোর। নগরপাল মনোজ বর্মার নির্দেশে বিশেষ দল গঠন করে শুরু হয় তদন্ত।
পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের জমা দেওয়া নথির সত্যতা যাচাই করতে নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হয়। দেখা যায়, আবেদনকারীদের সমস্ত নথিই জাল। এর পরে ওই বছরেরই ১১ নভেম্বর পঞ্চসায়রের উপ ডাকঘরে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
দফায় দফায় গ্রেফতার করা হয় রিপন বিশ্বাস, দীপক মণ্ডল, সমরেশ বিশ্বাস ও দীপঙ্কর দাস- সহ বেশ কয়েক জনকে। গ্রেফতারের তালিকায় রয়েছেন ডাক বিভাগের কর্মীও। তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে কম্পিউটর, ব্যাঙ্কের জাল নথি, প্রায় ৩৬টি পাসপোর্টের প্রতিলিপি, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা। অভিযুক্তদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ভুয়ো নথি কারবারের মূলচক্রী দীপঙ্কর। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে ১৩০ অভিযুক্তের তথ্য হাতে আসে পুলিশের।