কিছুদিন আগেই টেলমা এএম ৪০ ওষুধ সম্পর্কে প্রস্তুতকারী সংস্থাকে চিঠি লিখে কয়েকটি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ তার মধ্যে ছিল কোন কোন অংশে মূল ওষুধের নকল করা হয়েছে বলে তাঁরা জানেন৷ তারপরেই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার তরফ থেকে ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ডিরেক্টরেটকে জানানো হয়েছে, ব্লাড প্রেশারের যে ওষুধ জাল করা হয়েছে তার ব্যাচ নম্বর, 05240367, এই ব্যাচ নম্বরের সঙ্গে অরিজিনাল ওষুধের ব্যাচ নম্বরের সম্পূর্ণ মিল রয়েছে। অর্থাৎ, ব্যাচ নম্বরই জাল করা হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মিলছে না মজুরি, মাদারিহাটের সাত চা বাগান নিয়ে শ্রমমন্ত্রীর দ্বারস্থ তৃণমূল বিধায়ক
সেই কিউআর কোড স্ক্যান করলে দেখাবে ‘Could not verified’। ওষুধের গায়ে থাকা অ্যালমুনিয়ামের ফয়েলে যে নাম লেখা রয়েছে, সেখানেও বানান ভুল রয়েছে ওষুধের৷ ইন্ডিয়ান ফার্মাকোপিয়া অনুযায়ী, ওষুধটি গুণগত মানে উত্তীর্ণ নয়৷
আরও পড়ুন: বসন্ত উৎসবে বৃষ্টির পূর্বাভাস উত্তরবঙ্গে, দক্ষিণবঙ্গে কেমন থাকবে আবহাওয়া? জেনে নিন
তারপরেই বিষয়টি রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল অফ ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে৷ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন, এই ওষুধটি হাসপাতালের স্টোরে আসার পর, সেটির কিউ আর কোড স্ক্যান করে নেন, ওষুধটি আসল প্রমাণ পাওয়ার পরে তবেই যেন তা জনসাধারণকে দেওয়া হয়।
এর পাশাপাশি, হোলসেল ও রিটেল চেন যারা এই ওষুধগুলি মানুষকে বিক্রি করে থাকেন, তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সাপ্লাই চেইন থেকে এই নির্দিষ্ট ব্যাচের ওষুধ যেন কিউআর কোড ক্যান করে তবেই বিক্রি করা হয়৷