এই কালোজিরে মূলত নদীয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চাষ হয়। সঙ্গে ভেজালও হয়।কারও যদি এক কুইন্টাল কালো জিরে উৎপাদন হয়, সেই কালো জিরেকে দেড় থেকে দু-কুইন্টাল ভেজাল কালো জিরে বানানো হয়।
বেশ কিছু মানুষ পচা পুকুরের কালো পাঁক তুলে প্রথমে রোদে শুকায়।তারপর সেই পাঁক ছোট ছিদ্রের জাল দিয়ে ছেঁকে ফেলে। তাতে কালো জিরে আকারে ছোট ছোট দানার মত তৈরি হয়। সেই দানাগুলোকে কালো রং ও পোড়া মোবিল মিশিয়ে কালো করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- ভয় নেই এ মেয়ের, কিন্তু জয়! ব্রিগেড হল, ব্যালট লাল হবে তো ‘ক্যাপ্টেন’?
এমনকী সিমেন্ট বালি মাখিয়ে ওইভাবে নেটে চালুনি করে একই ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করাও হয়।তার পর সেগুলোকে ভাল জিরের সঙ্গে মিশিয়ে পুনরায় পোড়া মোবিল এবং কালো রং দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে শুকোতে দেওয়া হয়।
এই কুচকুচে কালো জিরের বিষয়ে দোকানদারদের এক কথায় উত্তর- ‘মানুষ জিরে কুচকুচে কালো না হলে নিতে চায় না।’ যদিও আসল কালো জিরের রং অনেকটা ফ্যাকাসে কালো।
বাজার থেকে কালো জিরে কেনার পর জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে দেখা যায় নিচে বালি কিংবা কাঁদার মতো জমে যায়। তাতেই বুঝতে হবে কতটা ভেজাল রয়েছে!
এই বিষয়ে খাদ্য বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, ওই রঙের মধ্যে লেড, আর্সেনিকের মতো পদার্থ থাকতেই পারে। এছাড়াও ভারী পদার্থ থাকতে পারে। এগুলো শরীরে ভয়ংকর জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে।’
আরও পড়ুন- ‘যেখানে ডাক পড়ে, জীবন মরণ ঝড়ে’ ব্রিগেডে বুদ্ধদেবের পাঠানো বার্তাতে রবীন্দ্রনাথ
এই কালো জিরে কলকাতায় আসছে। তার সঙ্গে সারা পশ্চিম বাংলায় ছড়িয়ে পড়ছে। পুলিশি ধরপাকড়ে কিছুটা কমলেও আবার শুরু হয়েছে এই কারবার। রাজ্যের বাইরেও এই জিরে চলে যাচ্ছে।