ধৃতদের কাছ থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং এনআরএসে ভর্তির জাল চিঠি ও রাবার স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে। ঘটনায় পঙ্কজ কুমার, মুকেশ কুমার রাম, দীপক পোদ্দার ওআশিস রায়কে দ্বিতীয়বার ৪ দিনের হেফাজতে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার রাজারহাটের নইপুকুর ও বৈদিক ভিলেজ এলাকায় অভিযান চালায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
এমবিবিএসের প্রতারণা চক্রে ধৃত চারজনের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি ভর্তির জাল আবেদনপত্র, ক্যান্ডিডেটদের তালিকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র মিলেছে বলে পুলিশের দাবি।
advertisement
আরও পড়ুন : পরিযায়ী পাখি থেকে নৌকাবিহার, গঙ্গা লাগোয়া এই জায়গায় পর্যটনে জোয়ার আনতে উদ্যোগী প্রশাসন
দুই জায়গা থেকে ১৫টি মোবাইল ও সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও আর জি করে এমবিবিএসে ভর্তির জন্য আবেদনপত্রও পেয়েছে পুলিশ। দুই জায়গা থেকেই ডাক্তারিতে ভর্তি হতে চাওয়া পড়ুয়াদের দু'টি তালিকা ও ফোন নম্বরও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি একটি ল্যাপটপ ও প্রিন্টারও মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। জাল আবেদন পত্র ও ভর্তির নথিপত্র তৈরিতে এই ল্যাপটপ এবং প্রিন্টার ব্যবহার করা হত বলে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া মোবাইলের কল লিস্ট তদন্তে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে বলে পুলিশ আশা করছে।
আরও পড়ুন : স্বয়ং মা দুর্গা হাজির কলকাতা বিমানবন্দরে, যাওয়া আসার পথে নিন তাঁর আশীর্বাদ
তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বড়িশা থানার শরৎচন্দ্র রোডে সঞ্জীব সমাদ্দারের ছেলে রাজদীপ সমাদ্দারকে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। তাঁকে কেন্দ্রীয় সরকারের নমিনির মেঘালয়ের কোটায় ভর্তির আশ্বাস দেওয়া হয়। রাজদীপকে ভর্তির চিঠিও দেওয়া হয়। সেটি নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে এসে তিনি ও তাঁর বাবা জানতে পারেন, চিঠিটি জাল। এ নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের কাছে নালিশ জানান সঞ্জীব। অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।