১) বউবাজার অংশে টানেলে জল ঢোকার রাস্তা বন্ধ করা হলেও, আগামীদিনে বা সময়ে যে ফের জল বেরোবে না, এমন নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারছে না। ফলে ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হলেও, আদৌ এই টানেলে কাজ করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
২) শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার মধ্যে তৈরি হচ্ছে আটটি ক্রস প্যাসাজ। এর মধ্যে শিয়ালদহ থেকে বউবাজারের মধ্যে তিনটি ক্রস প্যাসাজ তৈরি হবে। এর একটি মদন দত্ত লেনের নীচে, সেটি তৈরি করতে গিয়ে জল বেরিয়ে এসেছে। আগামীদিনে ফের খোঁড়ার সম্ভাবনা হলে যে জল বেরোবে না এমন গ্যারান্টি নেই।
advertisement
আরও পড়ুন - Numerology Suggestions: সংখ্যাতত্ত্ব কী বলছে, কেমন যাবে আপনার আজকের দিন
৩) সুড়ঙ্গে ক্রস প্যাসাজ না থাকলে কি অসুবিধা হবে? প্রসঙ্গত ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে দু'জায়গায় ব্যতিক্রম হয়েছে। সাধারণত ২ কিমি দূরত্বের বেশি হলে একটা স্টেশন করতে হয়। যার মধ্যে শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার মধ্যে স্টেশন করা যায়নি৷ সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে একটা এভাকুয়েশন গেট করা হয়েছে। আবার হাওড়া থেকে মহাকরণের মধ্যে, স্টেশন করা যায়নি। ফলে স্ট্যন্ড রোডে একটা এভাকুয়েশন গেট করা হয়েছে। ফলে আগামীদিনে বউবাজার অঞ্চলে ক্রস প্যাসাজ নাও করা হতে পারে।
৪) শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ মেট্রো চলে। বউবাজার কবে শেষ হবে তা নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে হাওড়া ময়দান থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে মহাকরণ ও ধর্মতলা স্টেশন তৈরি প্রায়৷ ফলে বউবাজার সম্পূর্ণ না হওয়া অবধি হাওড়া থেকে ধর্মতলার মধ্যে মেট্রো চলতে পারে।
৫) শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলার মধ্যে একটা টানেল পুরো তৈরি। একটা দিক এখনও বাকি। এই অবস্থায় আর লাইন ঘোরানো সম্ভব নয়। ফলে যেনতেন প্রকারে এই টানেল শেষ করতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যেভাবে প্রকল্প পিছিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামীদিনে আর অর্থনৈতিক ক্ষতি চাইছে না রেল বোর্ড।
যদিও কেএমআরসিএল যে অর্থ চেয়েছিল, তার চেয়ে ৩১৩ কোটি টাকা বেশি দিয়েছে ভারতীয় রেল।
Abir Ghosal