গরু পাচার মামলায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে সিআইডি তদন্তে। তাদের নজরে এনামূল হকের তিন ভাগ্নে। জাহাঙ্গির আলম, হুমায়ুন কবীর ও মেহেদি হাসান বর্তমানে দেশের বাইরে থাকলেও তাদের কর্মকাণ্ড রীতিমতো ভাবাচ্ছে সিআইডি কর্মকর্তাদের।
আরও পড়ুন : গুজরাতে মরবি ব্রিজে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! কমপক্ষে ৬০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা
advertisement
এই তিনজনের নামে ৫ টি সংস্থার আগেই হদিশ পেয়েছিল সিআইডি। এবার তদন্তকারীদের নজরে তাঁদের দু’টি ট্রাস্ট। সূত্রের খবর, সিআইডি মনে করছে, এই দুই ট্রাস্টের মাধ্যমে গরুপাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। দুটি ট্রাস্টের একটি মুর্শিদাবাদে রঘুনাথগঞ্জে ফিরোজা এডুকেশনাল ট্রাস্ট। এই ট্রাস্টের মাধ্যমে একটি বাংলা মাধ্যম আবাসিক স্কুল খোলার অনুমতি পেয়েছিল জাহাঙ্গীর আলমরা। প্রসাদপুরে ৯০ বিঘা জমিতে এই স্কুলবাড়ি তৈরির কাজ চলছিল। আগামী বছর থেকে ওই স্কুলে পড়ুয়া ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল।
তবে সিআইডি তদন্তে বিষয়টি উঠে আসতে আপাতত সেই বিষয়টিতে এখানেই যতি চিহ্ন পড়েছে বলে সূত্রের খবর। সিআইডি সূত্রে খবর, এই স্কুলের অনুমোদন দেয় শিক্ষা দফতর। স্কুল তৈরিতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও এনামূলের তিন ভাগ্নের নামে একটি ট্রাস্ট রয়েছে। রঘুনাথগঞ্জেই রয়েছে। ফিরোজা হেলথ কেয়ার ট্রাস্টএই ট্রাস্টটি চালায় হাসপাতাল বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সিআইডি সূত্রে দাবি, এই হাসপাতাল তৈরিতে প্রায় ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এভাবেই দু’টি ট্রাস্টের মাধ্যমে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি। এই মামলার তদন্তে সিআইডি আগেইএনামূলের ৩ ভাগ্নের ১৭ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। তাঁদের আরও ২০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছে সিআইডি। তদন্তকারীদের দাবি, সব অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে, ৪ বছরে প্রায় ১০হাজার কোটি টাকার লেনদেন সামনে এসেছে।