TRENDING:

Exclusive: শিক্ষিকা ১, ক্লাস ৪, আর পড়ুয়া শূন্য? আজব স্কুলের কাহিনি শুনলো এজলাস 

Last Updated:

Exclusive | Calcutta High Court: পড়ুয়া শূন্য স্কুলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা : 'শিক্ষক' শব্দের দুটি অর্থ, এক ছাত্রদের শেখানোর জন্য শিক্ষক আর দ্বিতীয়টি হয় আইনত একজন শিক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তি। বর্তমান ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি শিক্ষকের শূন্যপদ মামলাকারী শিক্ষিকার দখলে রয়েছে এবং স্কুলে পাঠদানের জন্য তার কোনও ছাত্র নেই। পড়ুয়ার অভাবে এক্ষেত্রে একজন শিক্ষক তাঁর দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। এটা চলতে দেওয়া যায় না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, ৪ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা দফতরের কমিশনার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সমাধান সূত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা করবে। ওই স্কুলে যাতে সমস্ত শিক্ষক নিয়োগ হয় এবং পড়ুয়ারা স্কুলমুখী হয় , তার রাস্তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করবে।
শিক্ষিকা হাজির, পড়ুয়া কোথায়?
প্রতীকী ছবি।
শিক্ষিকা হাজির, পড়ুয়া কোথায়? প্রতীকী ছবি।
advertisement

আরও পড়ুন : উপকূলে অশনির ভ্রুকুটি! মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সূচিতে রদবদল, ঘোষণা হল নতুন দিনক্ষণ

স্কুলে নেই কোনও পড়ুয়া। এতদিন ধরে এক জন মাত্র শিক্ষিকা স্কুল আগলে পড়ে রয়েছেন। এখন তিনিও ওই স্কুল ছেড়ে অন্যত্র বদলি হতে চান। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের একটি স্কুলকে এ বার বাঁচাতে উদ্যোগী হল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করে অবিলম্বে ছাত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে শিক্ষা দফতরকে।

advertisement

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

২০০৯ সালে স্থাপিত হয় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের মাধবকাটি রমাপুর জুনিয়র হাই স্কুল। সেখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। শেষ তিন বছর কার্যত চারটি শ্রেণির সব ক্লাস একাই নিচ্ছেন ইতিহাসের শিক্ষিকা সুস্মিতা মিত্র। কিন্তু অভিযোগ, ওই স্কুলে অনেক সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে দিন দিন পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে থাকে। চলতি বছর তা দাঁড়ায় শূন্যতে। গেল বছর পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ১০-এর নিচে। এই অবস্থায় ওই স্কুল থেকে বদলি চান শিক্ষিকা সুস্মিতা।

advertisement

২০২১-এর অগাস্ট এর পর ২০২২ এপ্রিল। বদলির জন্য এনওসি চেয়ে আবেদন করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে অনুমতি না দেওয়ায় (এনওসি) তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার উচ্চ আদালত ওই শিক্ষিকাকে অন্য স্কুলে বদলির জন্য অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন : ১০৮ জোড়া দম্পতি! ২৮ জন পুরোহিত! ছাদনাতলায় তুমুল আয়োজন, শিলিগুড়ির শালবাড়িতে হচ্ছেটা কী?

advertisement

তিন নদ-নদী পেরিয়ে, ২২৪ কিলোমিটার যাতায়াত করে  এক জনের পক্ষে চারটি শ্রেণির ক্লাস নেওয়া সম্ভব নয়। এবং বিশেষ করে যে স্কুল পড়ুয়া শূন্য।  সুস্মিতাদেবীকে অন্য স্কুলে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতির। যদিও বদলির পিছনে অনেক ব্যক্তিগত কারণও আদালতে দেখিয়েছেন শিক্ষিকা।

মামলাকারীর আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, স্কুল সাব-ইন্সপেক্টরের বয়ান, তাঁরা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। কিন্তু আশেপাশের কেউ আগ্রহ দেখাননি। শিক্ষকের অভাবেই স্কুল ধুঁকছে। এখন পড়ুয়া না থাকলেও, ২০২৩ সালে সেখানে ১৪ জন পড়ুয়াকে ভর্তি করানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। তাতে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্রয়োজন পড়বে না পুকুর বা জলাশয়ের দুরন্ত পদ্ধতিতেই মাছের ব্যবসা করলেই আয় হবে লক্ষাধিক
আরও দেখুন

পড়ুয়া শূন্য স্কুলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।মামলাটির নিষ্পত্তি না করে আগামী ২৩ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি স্থির করেছেন বিচারপতি। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষকদের বেশ কয়েকটি বদলির মামলায় পর পর রায় দিচ্ছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাসনাবাদের নেতাজি বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষক বদলির আবেদন চেয়ে হাই কোর্টে দ্বারস্থ হন। ওই মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতিকে তলব করেছে হাই কোর্ট। ১৩ এপ্রিল দুই কর্তার আদালতে উপস্থিত সুনিশ্চিত করতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Exclusive: শিক্ষিকা ১, ক্লাস ৪, আর পড়ুয়া শূন্য? আজব স্কুলের কাহিনি শুনলো এজলাস 
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল