মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ‘কুরুচিকর মন্তব্য’ করার অভিযোগে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল শান্তিনিকেতন থানায়। অভিযোগকারী প্রলয় নায়েক হুগলির একটি কলেজে অধ্যাপনা করার পাশাপাশি, বীরভূম জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদেরও সভাপতি। এছাড়াও অভিযোগপত্রে তিনি নিজেকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী বলেও দাবি করেছেন। তার মতে, বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাডে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে যে চিঠি লেখা হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অবমাননাকর। অত্যন্ত কুরুচিকর ভাষা ব্যবহার করে তিনি এই চিঠি লিখেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকী যে ভাষা তিনি ব্যবহার করেছেন তা আদতে প্ররোচনামূলক। বিষয়টি যে কোনও সময় রাজ্যে বড়সড় অশান্তির কারণ হতে পারে বলেও পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন অধ্যাপক প্রলয় নায়েক। পুলিশকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।
advertisement
গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনেস্কো স্বীকৃতি মেলার পর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত শান্তিনিকেতনে। পরবর্তীকালে ফলকের বয়ান ঘিরে বিশ্বভারতীয় উপাচার্য সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন রাজ্য সরকারের সঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যমণ্ডিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতির স্মারক হিসেবে লাগানো ফলকে ব্রাত্য হয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এই বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। শান্তিনিকেতন থানার দ্বারস্থ হয় মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামাঙ্কিত ট্রাস্ট। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলকে কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম থাকবে না সেই বিষয়ে উপাচার্যকে শান্তিনিকেতন থানায় তলবও করা হয়।
অবশ্য এই বিষয় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।