ইডি সূত্রে খবর, নতুন এই পরিকল্পনার আওতায় আসতে চলেছে গরুপাচার থেকে এএসসি দূর্নীতি, কয়লা পাচারের মতো একাধিক বিষয়, যেগুলিতে আর্থিক লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে। সেই কারণেই আলাদা আলাদা দশটি দল তৈরি করা হচ্ছে। মোট ১৬০ জন পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকছেন। তাঁদের ১৬ জন করে এক-একটি দলে ভাগ করে কাজ করানো হবে। তবে দলের শীর্ষে থাকছেন দিল্লির কোনও উচ্চপদস্থ গোয়েন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন: বোলপুর পৌঁছেই তৎপর CBI, অনুব্রতর CA-কে জিজ্ঞাসাবাদ, তলব ২ ব্যাঙ্ক আধিকারিককে
আরও পড়ুন: আজই অনুব্রতর মেয়ে, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে জেরা! বোলপুরে যাচ্ছে সিবিআই
কেন এই দলে উচ্চপদস্থ দিল্লির আধিকারিকরা রয়েছেন, তাঁরও নিজস্ব যুক্তি রয়েছে। অনেক সময়েই হয়, এখানকার অফিসারদের হাতে তদন্তের কোনও প্রমাণ এল বা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত উপস্থিত হল, সেই সময়ে দিল্লির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের থেকে মতামত নিয়ে তার পর সিদ্ধান্ত নিতে নিতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সেই কারণেই দিল্লির উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের রেখে দেওয়া হল এই তদন্তকারী দলগুলিতে। তাঁরা সরাসরি বিভিন্ন ভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবেন।
আর্থিক লেনদেনের ঘটনায় ইডির অভিযানে বড় সাফল্য আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর সময়। শহরের দুই প্রান্তের দুই ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করে ইডি। পাশাপাশি সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তবে শুধু তল্লাশিতে সাফল্য নয়, এ বার তদন্তের কাজও দ্রুত শেষ করতে চায় ইডি। সেই কারণেই বাড়ছে তদন্তকারী অফিসারদের সংখ্যা।