সেজন্যই এবার পদ্ধতি বদল করে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারেরা। সূত্রের খবর, এবার থেকে অভিযানে গেলে দুটি পৃথক দলে ভাগ হয়ে যাবে তারা। প্রথমে গ্রাহক হিসেবে দোকানগুলিতে গিয়ে বিভিন্ন মাস্কের দাম জিজ্ঞেস করবেন একটি দল। দাম জেনে আসার পর সেই দোকানে যাবে অন্য দলটি। তখন পুলিশ দেখে দাম কমিয়ে বললেই হাতেনাতে কালোবাজারি প্রমাণ হয়ে যাবে।
advertisement
ইবির এক অফিসার বলেন, "মাস্কের কালোবাজারি রুখতে কয়েকদিন ধরেই আমাদের অভিযান চলছে। কিন্তু পুলিশ হিসেবে গেলে যে দাম কমিয়ে বলা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি। তাই অন্যভাবে অভিযান চালানোর ব্যাপারে ভাবা হয়েছে। দিন কয়েক আগেই এই পদ্ধতিতে আমরা একটি অভিযানে গিয়েছিলাম। তখন গ্রাহক সেজে যে টিমটা গিয়েছিল তাদের যে দাম বলা হয়েছে, পুলিশের টিম হয়ে যেতেই কমে গিয়েছে বিক্রি হওয়া মাস্কের দাম। তখনই মনে হয় কালোবাজারি রুখতে হলে এই পদ্ধতিতেই অভিযান চালানো দরকার।"
শরীরে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে চিকিৎসকেরা N95 মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু এই মাস্ক কলকাতার বাজারে প্রায় যে অমিল, তা নজরে এসেছে ইবির। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশ দ্বিগুন, তিনগুন বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করছে বলে অভিযোগ।
কলকাতার বাজারে N95 মাস্ক এর কালোবাজারির অভিযোগ আসতেই কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। শুরু করে অভিযান। বিভিন্ন জায়গায় মেডিকেল স্টোর গুলোতে গিয়ে দাম যাচাই করেন তারা।
এখনও পর্যন্ত যে ক'টি অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, বেশিরভাগ দোকানেই N95 মাস্ক পাওয়া যায়নি। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চাহিদা থাকলেও যোগান নেই। তবে স্থানীয়ভাবে তৈরি anti-pollution mask-এর চাহিদাই এখন বেশি। তাই সেগুলির দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে তা নজরে এসেছে।
SUJAY PAL